E-Paper

হুমকি জ়েলেনস্কির, জবাব পুতিনের

জ়েলেনস্কি বলেছেন, ৯ মে রেড স্কোয়ারের প্যারেডে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ যে বিদেশি অভ্যাগতরা থাকবেন, তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কিভ নিতে পারবে না।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ০৮:৩৪
(বাঁ দিকে) ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু তা খারিজ করেছে ইউক্রেন। উল্টে রীতিমতো হুমকির সুরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেছেন, ৯ মে রেড স্কোয়ারের প্যারেডে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ যে বিদেশি অভ্যাগতরা থাকবেন, তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কিভ নিতে পারবে না। রাশিয়ার মাটিতে যা হবে, তার দায়িত্ব তাদের। জবাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ইতি টানতে সম্প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া দু’পক্ষই। শান্তি চুক্তিতে পৌঁছতে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল কিভ। তাতে রাজি নয় মস্কো। এ বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎজ়ি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ের ৮০তম বিজয় দিবস পালন করছে তারা। সেই উপলক্ষে ৩ দিনের বিরতি চায় তারা। এ দিন বিজয় দিবস পালনকে ‘নাটক’ বলে ভর্ৎসনা করেন জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকা বলেছিল একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি শুরু করতে। আমরা তাদের প্রস্তাব অনুসরণ করছিলাম। আজ থেকে বা কাল থেকে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়। হ্যাঁ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি। কারণ তিন দিন, কী পাঁচ-সাত দিনে কোনও সমঝোতা করা সম্ভব নয়।’’ কিন্তু ক্রেমলিন এ সব শুনতে রাজি নয়। তারা তিন দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখতে আগ্রহী, তার বেশি নয়। এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ দাবি করেছে, কৃষ্ণসাগরে একটি সি-বোর্ন ড্রোনের সাহায্যে তারা একটি রুশ এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তত ২০টি দেশের নেতারা থাকবেন রেড স্কোয়ারের অনুষ্ঠানে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগে জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে পাঠাবেন। কিন্তু বর্তমান ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে অন্য কাউকে পাঠানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বক্তব্য, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি যখন হচ্ছে না, তখনও মস্কোয় উপস্থিত কোনও অতিথির নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের নয়। জবাবে পুতিন বলেছেন, ‘‘ওই সব পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার কোনও দরকার নেই। ...আমার মনেও হয় না দরকার পড়বে। আমাদের যথেষ্ট শক্তি আছে। ২০২২ সালে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, রাশিয়ার প্রয়োজন মিটিয়ে তা শেষ করতে আমাদের যথেষ্ট উপায় ও সামর্থ্য রয়েছে।’’ সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ukraine Russia War Russia-Ukraine War

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy