E-Paper

আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: জ়েলেনস্কি

ওভাল অফিসে সে দিন জ়েলেনস্কিকে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক পথে আলোচনা করে যুদ্ধ শেষ করতে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ০৭:১৬
ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।

ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। —ফাইল চিত্র।

সরাসরি তাঁকেই যুদ্ধের জন্য ‘দায়ী’ করেছেন, ‘স্বৈরাচারী শাসকের’ তকমা দিয়েছেন, এমনকী নিজের দফতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করে নেওয়ার জন্য চাপও দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের বেশ কয়েক দিন পরে আজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি একটি ভিডিয়ো-বার্তায় বললেন, ‘‘অবশ্যই আমরা জানি আমেরিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওদের থেকে যে সাহায্য ও সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ।’’

ওভাল অফিসে সে দিন জ়েলেনস্কিকে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক পথে আলোচনা করে যুদ্ধ শেষ করতে। সমঝোতা করতে নারাজ জ়েলেনস্কি এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এতে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকা সাহায্য না করলে এত দিনে ইউক্রেন রাশিয়ার হাতে চলে যেত। ট্রাম্প ও ভান্স, দু’জনেই অভিযোগ করেছিলেন, এত সাহায্যের পরেও জ়েলেনস্কি আমেরিকার প্রতি সন্তুষ্ট নন। তারই জবাব হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ দিন বলেন, ‘‘এমন একটা দিনও যায়, যখন আমরা কৃতজ্ঞ থাকিনি। আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সেই শ্রদ্ধা। আমরা ইউক্রেনের জন্য যে লড়ে যেতে পারছি, সেটা আমাদের বন্ধুরা আমাদের জন্য যা করছে, তার জন্যই সম্ভব হচ্ছে। তা ছাড়া তাদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আছে।’’

সে দিন ওভাল অফিসের বৈঠক অসমাপ্ত রেখে বেরিয়ে চলে আসেন জ়েলেনস্কি। একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল, তা-ও করেননি। ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ রফতানি নিয়ে দু’দেশের চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তা-ও না করেই বেরিয়ে যান জ়েলেনস্কি। আজ যা বলেছেন জ়েলেনস্কি, মনে করা হচ্ছে তা লন্ডনের সম্মেলনের ফলাফল। লন্ডনে একটি নিরাপত্তা সম্মেলন বসেছিল। সেখানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি উপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেনকে কী ভাবে সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘সত্যিকারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সকলে বদ্ধপরিকর। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চয়তা চাই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

america Ukraine War

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy