Advertisement
১০ মে ২০২৪

সুর আরও নরম করলেন ট্রাম্প

গত কাল রাতে কিমের সঙ্গে ফের একপ্রস্ত আলোচনা হয় মুনের। আচমকাই নির্ধারিত হয় দু’দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক। গত দু’মাসে এ নিয়ে তিন বার দেখা করলেন দুই কোরিয়ার শাসক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
সোল শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ০৩:০৬
Share: Save:

সিঙ্গাপুরের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দিন কয়েক আগেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে দীর্ঘ চিঠি লিখে আগামী মাসের ১২ তারিখে হতে চলা বৈঠক বাতিল করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার পর দিনই অবশ্য হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিঠিতে বৈঠক বাতিলের কথা ঘোষণা করলেও উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা। ইঙ্গিত দেন, কিমের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলেও বসতে পারেন তিনি। গত কাল ওভাল অফিসে ট্রাম্প আবার জানিয়েছেন, ওই শীর্ষ বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘সিঙ্গাপুর আর ১২ তারিখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা। দিন আর জায়গাটা পাল্টায়নি।’’ ট্রাম্প বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিন্তু বরাবরই তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়ে এসেছেন।

ট্রাম্পের কালকের মন্তব্যের ঠিক পর পরই অর্থাৎ আজ সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টও ১২ তারিখের বৈঠক নিয়ে সদর্থক ইঙ্গিত দেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে মুন জায়ে-ইন জানান, ট্রাম্প বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতি এখনও দায়বদ্ধ উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম। তাঁরা চাইছে যে কোনও মূল্যে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে।

গত কাল রাতে কিমের সঙ্গে ফের একপ্রস্ত আলোচনা হয় মুনের। আচমকাই নির্ধারিত হয় দু’দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক। গত দু’মাসে এ নিয়ে তিন বার দেখা করলেন দুই কোরিয়ার শাসক। কাল উত্তর কোরিয়ার অসামরিক এলাকায় দুই নেতা দেখা করেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা নিয়েই কাল দু’দেশের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সোল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবশ্য ব্যাখ্যা, মুনের সঙ্গে দেখা করে আসলে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার রাস্তাটাই খোলা রাখতে চাইছেন কিম। মার্কিন-দক্ষিণ কোরীয় যৌথ মহড়ায় খেপে উঠেছিলেন কিম। তাঁর সরকারের শীর্ষকর্তারা ওয়াশিংটনকে আক্রমণ শুরু করায় সিঙ্গাপুরের আসন্ন বৈঠক বাতিলের চিঠি দেন ট্রাম্প। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক বাতিল হলে দু’দেশের সম্পর্ক ফের তলানিতে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিম। তাই বৈঠকের জন্য বরাবর আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE