পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল সোমবারই। এখানকার তিন শহরডনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভে সরকারি ভবনের দখল নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তার মধ্যে খারকিভে মঙ্গলবার প্রায় ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশের পুলিশ। ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, খারকিভের সরকারি ভবনগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
ইউক্রেনের সরকার রুশপন্থীদের আটক করায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, কিয়েভ এই পথে হাঁটলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনের খনি শহর ডনেৎস্কের একটি প্রশাসনিক ভবন থেকেও গত কাল বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তুর্চিনভ। যদিও আজ ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ভিতালি ইয়ারেমা বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এগোনো হচ্ছে।
পূর্ব ইউক্রেনের একটা বড় অংশে রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা ছিল কিয়েভ আর পশ্চিমী দেশগুলির। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। গত কাল অর্থাৎ ডনেৎস্কের একটি প্রশাসনিক ভবন দখল করে সেখানে রাশিয়ার পতাকা টাঙিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ওই শহরে একটি স্বঘোষিত আইনসভাও গঠন করেন তাঁরা। উদ্দেশ্য, ডনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক নামে আলাদা প্রজাতন্ত্র গঠন। বিক্ষোভকারীরা কিয়েভের শাসনে থাকতে চান না। বরং ক্রাইমিয়ার পথে হেঁটে গণভোটে ঠিক করতে চান, এলাকার মানুষ ইউক্রেনে থাকবেন কি না। সেই গণভোট ঠিক হয়েছে আগামী ১১ মে। তার ঠিক ক’দিন পরেই ২৫ মে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
তবে ইউক্রেনের একের পর এক শহরগুলিতে রুশপন্থীদের বিক্ষোভের পিছনে মস্কোর ইন্ধনই দেখছে কিয়েভ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনিয়াক সরাসরি পুতিন সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভ্রভ অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy