Advertisement
E-Paper

জোড়া আত্মঘাতী হামলায় হত ২৬

পাক জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে আফগানিস্তান। অতীতে বহু বার এমন অভিযোগ এনেছে ইসলামাবাদ। যদিও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য আজই আফগানিস্তানে পৌঁছেছেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ এবং আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল। আর এ দিনই তালিবানি আত্মঘাতী হামলার শিকার হল বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিক এবং দু’দেশের পুলিশ। দু’দেশে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৬ জন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৫
প্রিয়জনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক মহিলা। মঙ্গলবার লাহৌরে। ছবি: রয়টার্স।

প্রিয়জনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক মহিলা। মঙ্গলবার লাহৌরে। ছবি: রয়টার্স।

পাক জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে আফগানিস্তান। অতীতে বহু বার এমন অভিযোগ এনেছে ইসলামাবাদ। যদিও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য আজই আফগানিস্তানে পৌঁছেছেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ এবং আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল। আর এ দিনই তালিবানি আত্মঘাতী হামলার শিকার হল বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিক এবং দু’দেশের পুলিশ। দু’দেশে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৬ জন।

গত বছরের শেষে আফগানিস্তানের মাটি থেকে সরে গিয়েছে মার্কিন সেনা। আজ কাবুলের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে লোগার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-আলমে আত্মঘাতী হামলা ঘটে। সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশের পোশাক পরে চার আত্মঘাতী জঙ্গি এ দিন পুলিশের সদর দফতরে হানা দেয়। গেটের সামনেই এক জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটায়। দ্বিতীয় জঙ্গি দফতরের চত্বরের ভিতরে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। পুলিশ অফিসারেরা যেখানে মধ্যাহ্নভোজের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, সেখানে পৌঁছে বিস্ফোরণ ঘটায় বাকি দুই জঙ্গি। এই আত্মঘাতী হামলার বলি দুই সাধারণ নাগরিক এবং ১৮ জন পুলিশ। জখমের সংখ্যা আট। তালিবানের তরফে জঙ্গিনেতা জাবিহুল্লা মুজাহিদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাকিস্তানে হামলাটি ঘটে লাহৌরে পুলিশের সদর দফতরে। এখানেও বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক জঙ্গি। নিহতের সংখ্যা ৬। পঞ্জাব পুলিশের প্রধান মুস্তাক সুখেরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশকর্মী এবং চার সাধারণ নাগরিক। জখম হয়েছেন ২৩ জন।

ডিসেম্বরে পেশোয়ারের সেনা স্কুলে হামলার পরেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বেশ কয়েক জন জঙ্গি নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলায় পাক সরকার। তারই বদলা নিতে এই জঙ্গি হামলা বলে স্পষ্ট জানিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের শাখা সংগঠন জামাত-উল-আহরার। তাদের তরফে এহসানুল্লা এহসান বলেছেন, “জেলবন্দি মানুষগুলোকে একে একে খতম করছে সরকার। তাই আমরা এই হামলার দায় স্বীকার করে নিচ্ছি।” তাঁর কথায়, “সরকারের জন্য যে সব প্রাণ হারিয়েছে, আমরা তার বদলা নেব।” লাহৌর পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, পুলিশ আগে থেকে সতর্ক ছিল বলেই মৃতের সংখ্যা আর বাড়েনি। তিনি জানিয়েছেন, বহু চেষ্টা করেও কড়া পাহারা পেরিয়ে সদর দফতরে ঢুকতে পারেনি আত্মঘাতী জঙ্গি। তাই পুলিশ অফিসারদের চোখের সামনেই বিস্ফোরণে নিজেকে শেষ করে দেয় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিশালী বিস্ফোরণের জেরে কাছাকাছি কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

isi rahil sharif taliban terrorist attack kabul
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy