উত্তর ইরাকের তিকরিত ফের তাদের দখলে এসেছে বলে দাবি করল ইরাকি সেনাবাহিনী। তিকরিতের এক প্রভাবশালী উপজাতীয় নেতাও জানিয়েছেন, শহর এখন প্রধানমন্ত্রী নুরি অল-মালিকির সেনাদের দখলে।
তিকরিত দখল করেই শিয়াপ্রধান মালিকি সরকারকে প্রথম বড় ধাক্কা দিয়েছিল সুন্নি আইএসআইএল জঙ্গিরা। সেই শহর ফের দখলে আনতে পারলে সেনাবাহিনীর কিছুটা মুখরক্ষা হতে পারে বলে অনুমান। আজ ইরাকি সেনা জানিয়েছে, ট্যাঙ্ক নিয়ে চার দিক থেকে তিকরিতের উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। শহর এখন তাদের দখলে। উপজাতীয় নেতা শেখ আমিস আল-জবৌরি জানিয়েছেন, জঙ্গিরা উত্তরে কিরকুক ও নিনেভের দিকে পালিয়েছে। তবে অন্য সূত্রের দাবি, তিকরিত বিশ্ববিদ্যালয়-সহ শহরের নানা অংশে এখনও লড়াই চলছে।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হানা চালাতে ইতিমধ্যেই আমেরিকাকে অনুরোধ করেছে মালিকি সরকার। কিন্তু, এখনও সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটন। তবে ইতিমধ্যেই ইরাকে গিয়েছেন বেশ কিছু মার্কিন কম্যান্ডো। সেই সঙ্গে ইরাকের উপরে চালকহীন ড্রোন বিমানের নিয়মিত উড়ান চলার কথাও আজ মেনে নিয়েছে পেন্টাগন। আমেরিকার কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনতেও আগ্রহী মালিকি সরকার। কিন্তু তাতেও বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না ওয়াশিংটন। শিয়াদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে মালিকি সুন্নিদের অভাব অভিযোগ উপেক্ষা করেছেন বলে মনে করে তারা। সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমেরিকা ইরাকে খুব বেশি জড়াতে রাজি নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজ মার্কিন দাবি মানার ইঙ্গিত দিয়েছেন মালিকি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে ‘রাজনৈতিক ব্যবস্থা’ও প্রয়োজন মন্তব্য করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী। নয়া প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া ধর্মগুরু আয়াতোল্লা আলি-সিসতানি। আজ পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস মাইসোর’কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। আডেন উপসাগরে ইতিমধ্যেই রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ ‘আইএনএস তারকাশ’। ইরাক থেকে ভারতীয়দের সরাতে প্রয়োজনে ওই জাহাজগুলি ব্যবহার করা হতে পারে বলে নৌসেনা সূত্রে খবর। তৈরি রাখা হয়েছে বায়ুসেনার সি১৭ ও সি-১৩০জে বিমানও।