Advertisement
১০ মে ২০২৪

ফিরবেন ক্যাপ্টেন ইরিয়ান্তো, আশায় পরিবার

টিভি দেখেই চমকে উঠেছিলেন বৃদ্ধ সুয়ার্তো। তাঁর ছেলে ক্যাপ্টেন ইরিয়ান্তোই চালাচ্ছিলেন নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া বিমান কিউজেড-৮৫০১। তার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। খোঁজ মেলেনি বিমানটির। হারিয়ে গিয়েছেন ইরিয়ান্তোও। গত সপ্তাহেই তাঁর এক ছেলে মারা গিয়েছেন ডায়াবেটিসে। সেই ছেলের শেষকৃত্যের সময়েই সুয়ার্তোর দেখা হয়েছিল ইরিয়ান্তোর সঙ্গে। জানতেন না, সেটাই শেষ। ছেলেকে অন্তত আর এক বার দেখতে চান সুয়ার্তো। কিন্তু তা-ও যদি সম্ভব না হয়? “সবই ঈশ্বরের ইচ্ছে, আর কী!” স্বগতোক্তির মতো করেই যেন উত্তর দিলেন বৃদ্ধ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সঙ্গে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন ইরিয়ান্তোর মেয়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সঙ্গে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন ইরিয়ান্তোর মেয়ে।

সংবাদ সংস্থা
জাকার্তা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৫
Share: Save:

টিভি দেখেই চমকে উঠেছিলেন বৃদ্ধ সুয়ার্তো। তাঁর ছেলে ক্যাপ্টেন ইরিয়ান্তোই চালাচ্ছিলেন নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া বিমান কিউজেড-৮৫০১। তার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। খোঁজ মেলেনি বিমানটির। হারিয়ে গিয়েছেন ইরিয়ান্তোও।

গত সপ্তাহেই তাঁর এক ছেলে মারা গিয়েছেন ডায়াবেটিসে। সেই ছেলের শেষকৃত্যের সময়েই সুয়ার্তোর দেখা হয়েছিল ইরিয়ান্তোর সঙ্গে। জানতেন না, সেটাই শেষ। ছেলেকে অন্তত আর এক বার দেখতে চান সুয়ার্তো। কিন্তু তা-ও যদি সম্ভব না হয়? “সবই ঈশ্বরের ইচ্ছে, আর কী!” স্বগতোক্তির মতো করেই যেন উত্তর দিলেন বৃদ্ধ।

সুয়ার্তোর মতো নিয়তিকে এত সহজে মানতে পারছেন না ২২ বছরের এঞ্জেলা রেনাসটিয়ান্স, ক্যাপ্টেন ইরিয়ান্তোর মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বাবার ছবি। সঙ্গে লেখা “বাবা, প্লিজ তাড়াতাড়ি ফিরে এসো। আমার এখনও দরকার তোমাকে। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও।” এঞ্জেলার আশা, ভাল খবর নিশ্চয়ই আসবে। দীর্ঘদিন বায়ুসেনায় কাজ করেছেন ইরিয়ান্তো। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালাতেন তখন। সেই চাকরি ছাড়ার পরে যোগ দিয়েছিলেন এয়ার এশিয়ায়। সহকর্মীরা জানান, ২০ হাজার ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে ইরিয়ান্তোর। তার মধ্যে ৬,১০০ ঘণ্টা তিনি কাটিয়েছেন এয়ার এশিয়ার এয়ারবাস-৩২০ চালিয়ে। পূর্ব জাভার সিদোয়ার্জো শহরে তাঁর বাড়িতে উপচে পড়ছে ভিড়। চলছে প্রার্থনা, আর কোরান-পাঠ। বাগিয়ান্তো ডিজয়নেগোরো থাকেন ওই পাড়াতেই। বলেন, “বড় ভাল লোক ছিল ইরিয়ান্তো। কাজ থেকে ফিরেও পড়শিদের খবর নিত। কারও অসুবিধার কথা শুনলে সবার আগে পৌঁছত সাহায্য করতে।” কাকার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছেন ইরিয়ান্তোর ভাইপো। তাঁর কথায়, “কোনও আত্মীয়ের বিপদ হলে কাকু চলে যেতেন সাহায্য করতে। আমাদের বিশ্বাস, কাকু নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

qz 8501 indosesian plane missing java sea irianto
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE