২৬১ জন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ। বুধবার ভোররাতে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, সঙ্গীত শিল্পী, পোশাক শ্রমিক, রাজমিস্ত্রী, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী-সহ অন্তত ন’টি পেশার মানুষ আছেন। অধিকাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ২৪এর মধ্যে। এর মধ্যে ঢাকা থেকেই নিখোঁজ ৭২ জন। এঁরা ঢাকার মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, আদাবর, উত্তরা, বনানী, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা, রমনা, শেরে বাংলা নগর, তেজাগাঁও ও শ্যামপুর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়াও কেরানিগঞ্জ, আশুলিয়া থেকেও নিখোঁজ হয়েছেন কেউ কেউ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় এঁদের নামে সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নিখোঁজের বিষয়ে কোনও জিডি-ও হয়নি। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন প্রকাশিত নিখোঁজের তালিকা থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। তবে তাদের সবারই জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের মিডিয়া বিভাগের ফেসবুক পাতায় নিখোঁজদের তালিকা প্রকাশ করে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এঁদের সম্পর্কে কোনও তথ্য পেলেই খবর দেওয়ার। ২৬২ জনের ওই তালিকায় কারও কারও ছবি, সর্বশেষ ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরও নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে যাঁরা জিডি করেছেন তাঁদেরও নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যে সব থানায় জিডি করা হয়েছে, ওই থানার তদন্তকারীর মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে নিখোঁজদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য ও সংশ্লিষ্ট থানার জিডি ধরে যাচাই-বাছাই করে এ সব নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এদের বিষয়ে কারও তথ্য জানা থাকলে তা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এই তালিকার সঙ্গে দেওয়া বিবৃতিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন জানিয়েছে- দেশব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে এ সব নিখোঁজ ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এদের সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ ক্যাম্পে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়।
গুলশান হামলার পর নতুন হুমকি দিয়ে প্রকাশিত আইএসের ভিডিওতে যে তিন বাংলাভাষী তরুণকে দেখা গেছে তাঁদেরও নাম-পরিচয় রয়েছে তালিকায়। এরা হলেন- তাহমিদ রহমান সাফি, তাউসিফ হোসেন ও তুষার।