ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে সিরিজ। দ্রুত ক্রিকেটারদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে হাসিনা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে নিউজিল্যান্ডে কর্মরত বাংলাদেশের কনসুলার জেনারেলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। ভাগ্যক্রমে হামলার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কারণ, যে আল নুর মসজিদে এ দিন হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানেই নমাজ পড়তে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সব কিছু সময় মতো হলে হামলার সময় মসজিদেই থাকার কথা ছিল তাঁদের। তাঁদের কিছু ক্ষণ দেরি হওয়ায় রেহাই পেয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটারর। ভয়াবহ হামলা থেকে দেশের ক্রিকেটাররা রক্ষা পাওয়ায় স্বভাবতই স্বস্তিতে এ দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতা— সকলেই মুখেই স্বস্তির কথা। তবে, এ দিনের হামলায় দু’জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান এই ঘটনার পিছনে মুসলিম বিরোধী চেতনার বিকাশের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ‘‘উদারবাদী চিন্তার জায়গা থেকে এখন অনেক বেশি রক্ষণশীল বা ডানপন্থা বিভিন্ন দেশে আঁকড়ে বসতে শুরু করেছে। যারই ফলশ্রুতি এই হামলা।’’