Advertisement
১৮ মে ২০২৪
science

এ বার মহাকাশে ডানা মেলছে বাংলাদেশ

২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৮
Share: Save:

২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য হংকং সাংহাই ব্যাঙ্ক কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)-এর সঙ্গে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ-চুক্তি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এই চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তারানা হালিম আরও বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ করতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।’’ প্রকল্পটির কাজের পর্যায়ক্রমিক অগ্রগতি সবার সামনে তুলে ধরা হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বিটিআরসি কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এবং এইচএসবিসি বাংলাদেশের ডেপুটি সিইও মাহবুব উর রহমান চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘১৫৭.৫ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা)-র এই ঋণের সুদের হার ১.৫১ শতাংশ। ঋণ শোধের সময় ১২ বছর এবং ২০টি কিস্তিতে এই ঋণ শোধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণ, সিস্টেম কেনা এবং গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।

এত কম সুদে বাংলাদেশ এই প্রথম ঋণ পাচ্ছে দাবি করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কম সুদে এই ঋণ পেতে আমাদের যথেষ্ট সময় লেগেছে।’’

আরও পড়ুন: হাসিনার ইদের শুভেচ্ছা রঙিন প্রতিবন্ধী শিশুদের রঙ, তুলি, রেখায়

২০১৪-র ১৬ সেপ্টেম্বর এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা পরিচালনার জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প অনুমোদন দেয় এগ্‌জিকিউটিভ কমিটি অব দ্য ন্যাশনাল ইকনমিক কাউন্সিল (একনেক)।

সূত্রের খবর, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। স্যাটেলাইটটিতে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। উৎক্ষেপণের পর ট্রান্সপন্ডার লিজের মাধ্যমে বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে এবং ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে বিনিয়োগের অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব বলে আশা করছে সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sattelite Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE