Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bangladesh News

নোট বাতিলে সমস্যায় পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্যও

ভারতে ৫০০ ও ১০০০ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ১৫:৩৮
Share: Save:

ভারতে ৫০০ ও ১০০০ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে।

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশের বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন (৬৫০ কোটি) ডলার। যার অনেকটাই হয় দুই দেশের স্থল সীমান্তগুলোর মাধ্যমে।
এ দিকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকার সিএনএফ এজেন্ট এবং বিভিন্ন রফতানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোট বাতিলের জেরে বাণিজ্যের গতি বেশ কমেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একই অবস্থা বনগাঁ, মহদিপুর জিরো পয়েন্ট ইত্যাদি সীমান্তেও।
ভারত-বাংলাদেশের স্থল সীমান্তগুলো দিয়ে প্রতি দিনই প্রচুর পরিমাণে উচ্চ পচনশীল পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি হয়। এর মধ্যে পেঁয়াজ, আঙুর, আপেল সহ নানা ধরনের ফল ও অন্যান্য পণ্য রয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে এই পণ্য কেনায় দোটানায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সীমান্ত এলাকার সিএনএফ এজেন্ট বিল্লাল হোসেন গনমাধ্যমকে জানান, ভারতের পাইকারি বাজার নাসিক থেকে পেঁয়াজ কেনা হয়। কিন্তু সেখানকার ব্যবসায়ীরা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার প্রচলিত নোট গ্রহণ করছেন না। ফলে ব্যবসা কমে গেছে।
এ দিকে পেট্রাপোল জিরো পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দিনে যেখানে গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০টি লরি বাংলাদেশে আসতো, সেখানে তা কমে গড় দাঁড়িয়েছে ২০০টিতে। একই কথা বলছেন বনগাঁ সীমান্তের ব্যবসায়ীরাও।
তাঁদের আবেদন, এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৫০ এবং ১০০ রুপির নোটের জোগান দিক।
কিন্তু ৫০ এবং ১০০ টাকার নোটের জোগান নিয়ে গোটা ভারতে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
সীমান্তে ‘মানি এক্সচেঞ্জার’দের ক্ষেত্রে সমস্যা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। অনেকে প্রথম তিন দিন দোকান বন্ধ রাখলেও ধীরে ধীরে সামান্য পরিমাণে খুচরা নোট নিয়ে কাজ শুরু করছেন। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরাও। ঠিক কবে এ সমস্যার সমাধান হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে অনেকে মনে করছেন আরও ১৫ দিন এ সমস্যা চলতে থাকবে।

আরও খবর...

কলকাতা-ঢাকা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Benapole Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE