—ফাইল চিত্র।
এপ্রিলের গোড়ায় ভারত সফরে আসা শেখ হাসিনাকে যে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বড়সড় আশার কথা শোনানো যাবে না, এক রকম বুঝে গিয়েছে দিল্লি। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে দিতে এই সফরে ঢাকাকে নামমাত্র সুদে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চলেছে নয়াদিল্লি। এই ঋণের শর্তগুলিও হবে অনেক সহজ।
বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় ভারতের দেওয়া ১০০ কোটি ডলারের পুরোটাই খরচ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ২০০ কোটি ডলার দিয়েছিল ভারত। সেই টাকা যে সমস্ত প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা ছিল, সেগুলির কাজ শেষের মুখে। এ বার তৃতীয় দফায় দেওয়া ৫০০ কোটি ডলার ঋণ কোন কোন প্রকল্পে খরচ করা হবে, তার তালিকা তৈরির কাজ চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রকল্পগুলি চূড়ান্ত করবেন তিনি।
শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার এই ঋণচুক্তিতে টাকা খরচের কোনও সময়সীমা থাকছে না। কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচের বাধ্যবাধকতাও থাকছে না। তাঁর কথায়, “ভারত যে যে প্রকল্পগুলির কথা বলছে তার মধ্যে রয়েছে রেল যোগাযোগ বাড়ানো, সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের যন্ত্রাদি, ট্রাক ও বাস নির্মাণের মতো বিষয়গুলি রয়েছে।’’ মশিউর জানিয়েছেন, এই ঋণে সুদ থাকবে খুবই সামান্য। সামগ্রিক ভাবে যাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ে, এমন প্রকল্পকেই চিহ্নিত করা হবে।
সহজ সুদে ঋণের পাশাপাশি গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পের জন্য যাতে যৌথ ভাবে ৩০০ কোটি ডলার ধার্য করা হয় সে ব্যাপারেও হাসিনার সফরে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ঢাকার বক্তব্য, গোটা অঞ্চলে কৃষিজ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ৭ বছরের মধ্যে এই টাকা উঠে আসবে। যে হেতু এই প্রকল্পে বাংলাদেশই বেশি উপকৃত হবে, তাই খরচের অর্ধেক অংশ ঢাকা দিতে প্রস্তত।
যোগযোগ ব্যবস্থা, নদী অববাহিকার উন্নয়ন, আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ বাড়ানোর মতো বিষয়গুলির পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে জোর দেওয়া হবে ভারত বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকে। সে’টি হল দু’দেশের মধ্যে তথ্য ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানাচ্ছেন, অডিও ভিসুয়াল মাধ্যমে বিশেষ সহযোগিতা, যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র তৈরি, সরকারি বেতার এবং টেলিভিশনের মধ্যে সহযোগিতার মতো একাধিক চুক্তি সই হতে চলেছে হাসিনার সফরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy