বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গড়ার বিষয়টি নিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করল এরশাদের জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ওই নতুন নির্বাচন কমিশন গড়ার ব্যাপারে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন।
সেই প্রস্তাবগুলো কী কী?
১) সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা।
২) সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়ার সাংবিধানিক ক্ষমতা দিতে হবে।
৩) নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন করা।
৪) বর্তমান সংসদেই এই আইন পাশ করাতে হবে।
৫) নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়নে ৯টি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। সেগুলো: নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত নিষ্ঠা ও সততা, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচন সংক্রান্ত জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নন, অন্য অফিসে নিয়োগ বিধিনিষেধ এবং চারিত্রিক স্বচ্ছতা।
আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক খালেদার
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বঙ্গভবনের দরবার হলে এক ঘণ্টার এই আলোচনায় জাতীয় পার্টির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান এরশাদ। বিকেলে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাজী ফিরোজ রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা পাঁচটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছেন। কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেবে নতুন কমিশন। ওই কমিশনের অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
সংসদের বাইরে থাকা দল বিএনপির সঙ্গে রবিবার আলোচনার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। যে পাঁচটি দলকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে আলোচনার তারিখ নতুন করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, “জাসদের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দেশের বাইরে থাকবেন বলে দলটির তরফে জানানো হয়েছে। নতুন সময়সূচি শিগগিরই ঠিক করা হবে।” বুধবার বিকেলে লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি (এলডিপি) আর তার পরে কৃষক-শ্রমিক জনতা লিগের সঙ্গে আলোচনা করবেন রাষ্ট্রপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy