E-Paper

গ্রামের অগ্রগতিতেই দেশের উন্নয়ন—শিলিগুড়ি জ়োনের গর্বিত নায়কদের সম্মান জানাল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’

শহরে শিল্প, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর গ্রামীণ উন্নয়নের মূল ভিত হলেন গ্রাম প্রধানেরা। এককথায় বলা যায়, গ্রাম প্রধানের সক্রিয় ভূমিকা গ্রামীণ উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ০০:২৯
শিলিগুড়ি জ়োন থেকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মানে সম্মানিত ২০ জন গ্রাম প্রধান

শিলিগুড়ি জ়োন থেকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মানে সম্মানিত ২০ জন গ্রাম প্রধান

‘আল্ট্রাটেক’ বিশ্বাস করে যে, গ্রাম নির্মাণের সঙ্গেই হতে পারে দেশের অগ্রগতি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের কোণায় কোণায় গ্রামের পরিকাঠামো ও সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন আমাদের গ্রাম প্রধানেরা। দেশের এক নম্বর সিমেন্ট ‘আল্ট্রাটেক’ সেই নির্মাণযাত্রায় নিরলসভাবে পাশে রয়েছে। অভিজ্ঞতা, নির্ভরযোগ্যতা ও উচ্চমানের ওপর ভর করে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নে গ্রাম প্রধানদের এই মহৎ প্রচেষ্টার সঙ্গী হতে বদ্ধপরিকর ‘আল্ট্রাটেক’।

শহরে শিল্প, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর গ্রামীণ উন্নয়নের মূল ভিত হলেন গ্রাম প্রধানেরা। এককথায় বলা যায়, গ্রাম প্রধানের সক্রিয় ভূমিকা গ্রামীণ উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই আল্ট্রাটেক বিশ্বাস করে - ‘গ্রাম গড়লে দেশ এগোবে’। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক নিয়ে এসেছে এক অভিনব উদ্যোগ – ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান। সম্প্রতি দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক, শিলিগুড়ির সূর্য গ্র্যান্ড হোটেলে আয়োজন করেছিল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।

প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সে দিনের অনুষ্ঠান। এরপর উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। এই অভিনব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ডব্লিউ, বিসিএস (কার্যনির্বাহী) যুগ্ম সচিব এবং বর্তমানে ভারতের ‘এসএএআরসি’ (SAARC) সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি অমলকান্তি রায়।

এ ছাড়াও উপস্থিত উত্তরবঙ্গের ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সেলস্‌ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার দেবেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, “আল্ট্রাটেক বিশ্বাস করে ‘গ্রাম গড়লে, দেশ এগোবে।’ শুরু থেকেই আমরা গঠনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি।”

বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন সচিব, ‘বি. আর. আম্বেদকর ইনস্টিটিউট অফ পঞ্চায়েতস্‌ অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ (BRAIPRD)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর, বর্তমানে ‘ইকোভোকাল সলিউশনস্‌ প্রাইভেট লিমিটেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ‘স্মার্ট ফার্মিং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর দিব্যেন্দু সরকার।

মালবাজার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির ‘এসো হাত ধরি’ এনজিয়োর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক কৌশিক দাস।

জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুমন কোনার।

এ ছাড়াও সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন নকশালবাড়ি উন্নয়ন ব্লকের অধীনে নিম্ন বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অংশুমান চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাননীয় প্রধান অতিথি অমলকান্তি রায় বলেন, “স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গেছেন, ‘গ্রাম আমাদের ভারতের আত্মাস্বরূপ, গ্রাম স্বনির্ভর না হলে দেশের উন্নতি হতে পারে না।’ ১৯৭৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত আইন নির্মিত হয়। ১৯৯১ সালের অ্যামেন্ডমেন্ট, এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এরপর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামোর উন্নয়ন সবেতেই গ্রাম প্রধানদের দেখা গেছে সদর্থক ভূমিকা নিতে। আমার বিশ্বাস আগামী দিনেও দেশ গঠনে তাঁরা তাঁদের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন।”

গ্রাম প্রধানদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ শুধু মাত্র গ্রামগুলিই যে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে তা নয়, বরং এই উন্নয়নই ভিত মজবুত করছে দেশের অগ্রগতির। তাঁদের সম্মান জানাতেই ‘আল্ট্রাটেক’-এর এই অভিনব উদ্যোগ, ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’। প্রায় এক মাস ব্যাপী চলা এই কর্মযজ্ঞে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ি নিয়ে তৈরি হয়েছিল শিলিগুড়ি জ়োন। প্রায় ৪০০ আবেদনপত্রর মধ্যে থেকে কাজের নমুনার ছবি ও ভিডিয়ো দেখে বিচারকরা ২০জন পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেন ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।

এই সম্মানে সম্মানিত হয়ে শিলিগুড়ি এমপি জেলার পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ শহীদ বলেছেন, “এই ধরনের অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই সম্মান ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই অনন্য উদ্যোগটির অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন। প্রত্যেক বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয় এবং সার্টিফিকেট। নিজেদের কথা বলতে উঠে বিজয়ীদের প্রত্যেকের গলায় ছিল প্রত্যয়ের সুর এবং নিজেদের গ্রামকে আরও ভালভাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সবাই উদ্যোক্তা ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’ এবং মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার পত্রিকার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

Rural Development Panchayat pradhan Pradhan Siliguri Zone Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy