E-Paper

বিহারের কৃষিশিল্পে ফিরছে প্রাণ— ঔরঙ্গাবাদ, অরওয়াল ও বেগুসারাইয়ে পাট চাষে নতুন দিগন্ত

বিশ্বজুড়ে যখন প্লাস্টিক বর্জন ও টেকসই বিকল্প ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন পাট একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৪
‘ন্যাশনাল জুট বোর্ড’-এর সচিব, আইআরটিএস শশী ভূষণ সিংহ

‘ন্যাশনাল জুট বোর্ড’-এর সচিব, আইআরটিএস শশী ভূষণ সিংহ

পাট চাষ ভারতের ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজগুলির মধ্যে অন্যতম, যা দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে রয়েছে। তাই একে বলা হয় ‘সোনালি আঁশ’, কারণ পাটের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু বস্তা বা দড়ি তৈরিতে নয়, আধুনিককালে পাট ব্যবহার হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতেও। বিশ্বজুড়ে যখন প্লাস্টিক বর্জন ও টেকসই বিকল্প ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন পাট একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পূর্বাঞ্চল — পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসম, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে পাট চাষের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।

তবে বিগত কয়েক দশকে সঠিক পরিকাঠামো ও প্রশিক্ষণের অভাবে বহু অঞ্চলে পাট চাষে ভাটা পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ‘ন্যাশনাল জুট বোর্ড’ (NJB)-এর মত সংস্থাগুলির বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ, যেমন, ‘জুট আইকেয়ার প্রকল্প’ পাট চাষে নতুন দিশা দেখাতে শুরু করে। বর্তমানে, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তার সমন্বয়ে আবারও বহু কৃষক ঝুঁকছেন এই পরিবেশবান্ধব ফসলের দিকে।

বিহারের ঔরঙ্গাবাদ ও অরওয়াল জেলায় পাট চাষকে ঘিরে দেখা যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত। ক্ষেত্রপর্যায়ের সমীক্ষার পর, ‘ন্যাশনাল জুট বোর্ড’ তার ‘জুট আইকেয়ার’ প্রকল্পের সুবিধা ‘জেসিআই’-এর মাধ্যমে বিহারের ঔরঙ্গাবাদ, অরওয়াল এবং বেগুসরাই জেলার কৃষকদের মধ্যে সম্প্রসারিত করেছে। এই প্রকল্পটি ‘মেসার্স খলিহান’ বাস্তবায়িত করছে।

পরবর্তীকালে, ‘জুট আইকেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় থাকা জেলাগুলির কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ‘ভারতীয় পাট কর্পোরেশন’ (JCI) এবং ‘মেসার্স খলিহান’ নামক একটি অংশীদারি সংস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্প সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয়েছে—

  • কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল (HYV) প্রত্যয়িত বীজ ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া হয়েছে।
  • পাট পচনের জন্য বিশেষ রাসায়নিক (retting accelerator) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে পাট আরও ভাল মানের হয়।
  • গ্রামে গ্রামে সচেতনতা কর্মসূচি ও মাঠে প্রদর্শনীর (field demonstration) মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষের কৌশল শেখানো হয়েছে।

এই উদ্যোগের ফলে ঔরঙ্গাবাদ ও অরওয়াল জেলায় এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে:

  • ১৬২৪ জন কৃষক এই প্রকল্পে নিবন্ধিত হয়েছেন।
  • ৪০৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ শুরু হয়েছে।
  • কৃষকদের মধ্যে ১৩ কুইন্টাল এইচওয়াইভি (HYV) বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

এই অঞ্চলের অনেক জমিই বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পতিত পড়ে থাকত। পাট চাষের মাধ্যমে সেই জমি এখন কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং কৃষকেরা পাচ্ছেন অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ।

কৃষি দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের আশা, এই উদ্যোগ কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘ন্যাশনাল জুট বোর্ড’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

National Jute Board Bihar Jute ICARE scheme Aurangabad Arwal Begusarai

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy