E-Paper

আদানির লগ্নিকারী সংস্থা এক ব্যক্তি! শুরু নতুন তরজা

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, ‘‘এই ঘটনা বেনামি সম্পত্তি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের স্পষ্ট প্রমাণ। এক ব্যক্তির সংস্থা কী ভাবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার তকমা পায়?”

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৪
An image of Gautam Adani

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা আদানি পাওয়ারের বৃহত্তম সাধারণ লগ্নিকারী মরিশাসের ওপাল ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু এই ওপাল আদতে এক ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত বলে কর্পোরেট নথির উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এই প্রেক্ষিতে আদানি কাণ্ড নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং আদানি গোষ্ঠীর নিজেদের টাকাই ঘুরপথে এনে সংস্থায় ঢালার লক্ষণ এখানে স্পষ্ট। অথচ নিয়ন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কোনও হেলদোল নেই। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ নতুন করে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবি তুলেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে সেবির পুরনো তদন্তের প্রসঙ্গ রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রকের সেই তদন্তে আদানি গোষ্ঠীতে পুঁজি ঢালা ১৩টি বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার নাম বলা হয়েছিল। ওপাল সেগুলির অন্যতম। তাদের হাতে আদানি পাওয়ারের ৮০০০ কোটি টাকার পুঁজি রয়েছে। ৪.৭% অংশীদারি নিয়ে তারাই গৌতম আদানির সংস্থাটির বৃহত্তম সাধারণ লগ্নিকারী। ২০১৯ সালের মে মাসে সংস্থাটি তৈরি হয়। কর্পোরেট রেকর্ড অনুযায়ী, দুবাইয়ের অফিস থেকে সেই পুঁজি পরিচালনা করছেন জনৈক আদেল হাসান আহমেদ আলালি।

বুধবার রমেশ এক্স-এ (সাবেক টুইটার) সংবাদ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিল। দুবাইভিত্তিক এক জন ব্যক্তির পরিচালিত সংস্থা কী ভাবে ৮০০০ কোটি টাকার পুঁজি ঢেলে আদানি পাওয়ারের ৪.৭% অংশীদারি হাতে পেল? ওপাল আসলে আদানি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত সংস্থা নয় তো? যাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের টাকাই ঘুরপথে সংস্থায় ঢালছে আদানিরা এবং শেয়ার বাজারের নিয়ম ভাঙছে?’’

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, ‘‘এই ঘটনা বেনামি সম্পত্তি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের স্পষ্ট প্রমাণ। এক ব্যক্তির সংস্থা কী ভাবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার তকমা পায়? অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে ইডি রাজীব সাক্সেনার দুবাইয়ের ভিলা বাজেয়াপ্ত করেছে। অথচ বিজেপি ঘনিষ্ঠদের ক্ষেত্রে চোখ বুজে রয়েছে। সেবিও কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Adani Group Gautam Adani

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy