—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি বেশ কিছুটা ছন্দে ফিরেছে। বাড়ছে কেনাকাটা। ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিও মানুষকে সে জন্য বন্ধকহীন ঋণ দিতে আগ্রহী হচ্ছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিভিন্ন মহল। ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে নেওয়া ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করছে তারা। এমনকি সম্প্রতি ঋণনীতিতে এই ধরনের ঋণ যাতে অনাদায়ি না হয়, সে জন্য নজরদারির কথা বলেছে খোদ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও। আর এ বার উপদেষ্টা সংস্থা ইউবিএস জানাল, এই সমস্ত ঋণে বকেয়া বাড়ছে। যা সামগ্রিক ভাবেই চিন্তায় ফেলছে ব্যাঙ্কিং শিল্পকে।
উপদেষ্টাটির তথ্য বলছে, গত বছরের ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় এ বছর ২৫ অগস্টে ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বেড়ে পৌঁছেছে ২.১৮ লক্ষ কোটিতে। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে বকেয়া বেড়েছে ২৬%। ধার বাকি থাকলেও ফের ঋণ নেওয়ার সংখ্যাও ২০১৮-১৯ সালের ১২ শতাংশে চেয়ে বেড়ে হয়েছে ২৩%। একাধিক খুচরো ঋণ রয়েছে, এমন গ্রহীতারসংখ্যাও ২০১৭-১৮ সালের ৩.৯ শতাংশে থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৩%।
ইউবিএসের মতে, এই তথ্য প্রমাণ করছে ঝুঁকি রয়েছে এমন ঋণগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সামগ্রিক ভাবেই ব্যাঙ্কগুলির ঋণের খরচও বাড়চ্ছে ৫-১০ বেসিস পয়েন্ট করে। সব মিলিয়ে এই সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে চিন্তায় থাকছে ঋণদাতারা। যে কারণে সামগ্রিক ভাবে ব্যাঙ্কিং শিল্পের ক্ষেত্রেই দৃষ্টিভঙ্গি কমিয়েছে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্ট মহলও মনে করাচ্ছে, অতিমারির পরে বিক্রিবাটা স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেডিট কার্ড-সহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ধারে পণ্য কেনার প্রবণতা মাথাচাড়া দিচ্ছে। পাল্লা দিয়ে সেই ঋণ শোধ না হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। যে কারণে ঋণনীতিতে খুচরো ঋণে নজরদারি চালানোর বার্তা দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এ বার সেই আশঙ্কাই জানাল ইউবিএস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy