আগামী সোমবার থেকে জিএসটি কাঠামোর বদল কার্যকর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার কর কমায় সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকবে। তাতে পছন্দসই জিনিসপত্রের কেনাকাটা বাড়বে। আজ বণিকসভা ফিকি-র এক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কেনাকাটায় উৎসাহ বাড়লে ছোট ব্যবসা তো উপকৃত হবেই, একই সঙ্গে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে তাদের সংগঠিত ক্ষেত্রে ছাতার তলায় আসাও বাড়বে। তাতে বাড়বে সংগঠিত ক্ষেত্রের পরিধি। সঙ্গে সরকারের কর সংগ্রহ বাড়ানোর সুযোগও।
জিএসটি কাঠামো সংস্কারের ফলে ১২% স্তরের অনেক পণ্য ৫ শতাংশের স্তরে চলে আসবে। ২৮ শতাংশের অনেক কিছু চলে আসবে ১৮ শতাংশে। ফিকি-র রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এখন ৫ শতাংশের স্তরে ৫৪টি শ্রেণির পণ্য রয়েছে। তা বেড়ে হবে ১৪৯। বাড়বে জিএসটির বাইরে থাকা অত্যাবশ্যক পণ্যের সংখ্যাও। এই সবের ফল হিসেবে গ্রামীণ পরিবারগুলির গড় পরোক্ষ করের বোঝা ৬.০৩% থেকে নেমে আসতে চলেছে ৪.২৭ শতাংশে। শহরের পরিবারগুলির ক্ষেত্রে তা ৬.৩৮% থেকে হবে ৪.৩৮%। এতে যে উদ্বৃত্ত অর্থ সাধারণ মানুষের হাতে থাকবে, তা খরচ করলে সবচেয়ে লাভবান হবে পরিষেবা ক্ষেত্র, খুচরো এবং স্থানীয় ছোট ব্যবসাগুলি। সমীক্ষাকারী কমিটির চেয়ারম্যান অনিল রাজপুত বলেন, ‘‘জিএসটি ২.০ করের হারকে আরও সরল করবে। ভারত এগিয়ে যাবে এক দেশ এক করের লক্ষ্যে।’’
আজ মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের বক্তব্য, সরকার গোটা অর্থবর্ষে ৪৮,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির কথা বলছে বটে। তবে করের হার কমার ফলে কর সংগ্রহের পরিধি আরও বাড়লে ভবিষ্যতে এই বোঝা আর বইতে হবে না সরকারকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)