Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Jyotiraditya Scindia

Jyotiraditya Scindia: নতুন বিমানবন্দর চাই কলকাতায়: সিন্ধিয়া

কলকাতায় সমান্তরাল বিমানবন্দর তৈরির বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কথা চালাচালি চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই।

বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৫
Share: Save:

ধারণক্ষমতার সীমা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা বিমানবন্দর। এই অবস্থায় দেশের অন্যান্য বড় শহরের মতো এই মহানগরীতেও সমান্তরাল দ্বিতীয় বিমানবন্দর নির্মাণের কথা তুললেন বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

কলকাতায় সমান্তরাল বিমানবন্দর তৈরির বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কথা চালাচালি চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। বর্তমান বিমানবন্দর দিয়ে বছরে আড়াই কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। সেই হিসেব করেই ২০১৩ সালে বানানো হয়েছিল নতুন টার্মিনাল। কিন্তু যে-হারে বিমানযাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে ধারণক্ষমতার সীমা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা। ২০২০-র মার্চে করোনার দাপটে দেশ জুড়ে উড়ান পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আগে যাত্রী-সংখ্যা ২.১০ কোটিতে পৌঁছেছিল। সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় ফের তা হুহু করে বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এর ফলে এই বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা সম্পৃক্ত বিন্দু ছুঁতে পারে যে-কোনও মুহূর্তে।

বুধবার প্রকারান্তরে সেই কথা মনে করিয়ে সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘কলকাতায় দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়া দরকার। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জিও জানানো হয়েছে। দেশের অন্যান্য বড় শহরের প্রতিটিতেই সমান্তরাল বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। বাড়তে বাড়তে দিল্লি বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী-সংখ্যা এখন সাড়ে সাত কোটি, মুম্বইয়ের পাঁচ কোটি, বেঙ্গালুরুর চার কোটি এবং হায়দরাবাদের আড়াই কোটি। ওই সব শহরে সমান্তরাল বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও দ্বিতীয় বিমানবন্দরের কথা বলেছি।’’

কেন্দ্রের বক্তব্য, কলকাতার দ্বিতীয় বিমানবন্দর বর্তমানটির ২০-২৫ কিমির মধ্যেই গড়া দরকার। তার জন্য কমপক্ষে ৩০০০ একর জমি প্রয়োজন। রাজ্যের বক্তব্য, বর্তমান বিমানবন্দরের ২৫-৩০ কিমির মধ্যে একলপ্তে এত জমি পাওয়া অসম্ভব। বরং দুর্গাপুরের অণ্ডালে যে বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে, সেটিকেই কলকাতার সমান্তরাল বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হোক। কিন্তু কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের দূরত্বের কারণে আপত্তি কেন্দ্রের। বিমান মন্ত্রকের বক্তব্য, সমান্তরাল বিমানবন্দর কাছাকাছি থাকা উচিত। কারণ, কোনও যাত্রীর একটি বিমানবন্দরে নেমে পরের উড়ান ধরতে দ্বিতীয়টিতে যেতে হতে পারে। দুই উড়ানের মধ্যে সময় বেশি না-থাকলে কলকাতা থেকে অণ্ডালে গিয়ে উড়ান ধরা প্রায় অসম্ভব।

প্রাথমিক সমস্যা মেটাতে ১০০০ কোটি টাকা খরচে আপাতত কলকাতা বিমানবন্দরের আরও এক কোটি যাত্রী ধারণের ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তার অঙ্গ হিসেবে পার্কিং বে-র সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যেখানে পুরনো ডোমেস্টিক টার্মিনাল ছিল, সেটি ভেঙে বর্তমান টার্মিনালকে সেই পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে।

এ দিন বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের অনুষ্ঠানে এসে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বের কথা বলেন সিন্ধিয়া। তুলে ধরেন ছোট শহরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টিও। তাঁর কথায়, ‘‘বড় শহর ছেড়ে এখন দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির শহরে নজর দিচ্ছি। বিহারের দ্বারভাঙা এবং ওড়িশার ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত উড়ান চালু করে সাফল্য এসেছে। এমন আরও প্রায় ১০০ শহর থেকে পরিষেবা চালু করতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jyotiraditya Scindia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE