পাহাড়প্রমাণ অনুৎপাদক সম্পদ এবং একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগে নাস্তানাবুদ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। এ বার সে সব নিয়ে সাংসদদের জেরায় জেরবার হলেন ব্যাঙ্ক-কর্তারা। বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপি সাংসদের প্রশ্নবাণের মুখেও পড়তে হল স্টেট ব্যাঙ্ক ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) চেয়ারম্যানকে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের তলব করে। স্টেট ব্যাঙ্ক ও পিএনবি-র কর্ণধার রজনীশ কুমার ও সুনীল মেটা হাজির হন। সূত্রের খবর, অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দু’জনেই দাবি করেন, আগের থেকে পরিস্থিতি ভাল। দেউলিয়া বিধি আসায় অনাদায়ী ঋণের সমস্যা কমেছে। কিন্তু তাতে খুশি না হয়ে সাংসদদের পাল্টা প্রশ্ন, সব অনাদায়ী ঋণকে এক গোত্রে ফেলা যায় কি?
প্রশ্ন ওঠে পিএনবি-তে নীরব মোদীর প্রতারণা নিয়ে। সূত্রের খবর, মেটা দাবি করেন, ফাঁক অবশ্যই ছিল। কিন্তু ওটি একটি শাখার সমস্যা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে চন্দা কোছরের নামে ওঠা অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তা এড়িয়ে যান ব্যাঙ্ক কর্তারা। এ বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়েও তার গভর্নরকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।
চোখা প্রশ্ন
• অনাদায়ী ঋণের বোঝা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। তাতে রাশ টানতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি?
• সব অনাদায়ী ঋণ তো এক নয়। ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপের মধ্যে ফারাক ব্যাঙ্ক করছে কতটা গুরুত্ব দিয়ে?
• বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে যে ভাবে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন’-এ ফেলা হচ্ছে, তাতে তাদের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে না কি?
• নীরব মোদীর জালিয়াতি হল কী ভাবে? কথা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে কর্ণধার চন্দা কোছরের নামে ওঠা অভিযোগ নিয়েও।
• ১২ জুন স্থায়ী কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকেও।
সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় প্রশ্ন তোলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে ভাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন’-এর তালিকায় ফেলছে, তাতে তাদের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে কি না। কথা হয়েছে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy