প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে রবিবার। আর তার ঠিক আগে দেশে বিমান জ্বালানির (এটিএফ) দাম বাড়ল ৬.৭%। এই দর বৃদ্ধিকেই অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখছে বিভিন্ন মহল। অতীতের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে জল্পনা বাড়ছে, ভোট মেটার পরে দেশে তেলের দরও ফের মাথা তুলবে না তো? কারণ বিশ্ব বাজারে ফের একটু একটু করে চড়ছে অশোধিত তেলের দর।
গত মাসে দু’দফায় ৩% ও ১% করে দাম কমানোর পরে গত শনিবার এটিএফের দাম বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। দিল্লিতে কিলোলিটারে দাম বেড়েছে ৩৮৮৫ টাকা। বিভিন্ন রাজ্যের করের ভিত্তিতে অবশ্য সেই বৃদ্ধি আলাদা।
এ দিকে, করোনা সঙ্কটের মধ্যে দেশে জ্বালানির চাহিদা কমলেও, মূলত আমেরিকায় বিক্রি বাড়া ও ডলারের দাম কমার হাত ধরে দিন চারেক ধরে বিশ্ব বাজারে বাড়ছে তেলের দাম। দুবাইয়ে তা ব্যারেলে ২.৯১ ডলার বেড়েছে। সামান্য ওঠাপড়া করলেও ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দিন তিনেক আগে ৬৮.৫ ডলার ছাড়িয়েছিল। আপাতত সেই দর উঁচুর দিকেই থাকবে, মত সংশ্লিষ্ট শিল্পের একাংশের। তাই ভারতের তেল সংস্থা সূত্রও অদূর ভবিষ্যতে তেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে। সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দর রেকর্ড গড়েছে। মোদী সরকার এ জন্য বারবার অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করলেও তাদের আমলে যে বিপুল উৎপাদন শুল্ক বেড়েছে, বিরোধীদের সেই পাল্টা যুক্তিকে কার্যত উপেক্ষাই করে চলেছে। বিধানসভা ভোটের মধ্যে ক’দিন সামান্য দাম কমলেও গত ১৫ এপ্রিল থেকে তা একই রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বছর কয়েক আগে গুজরাত, কর্নাটকের মতো রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময়ে তেলের দর থমকে থাকলেও ভোট মিটতেই দর বাড়িয়েছিল তেল সংস্থাগুলি। এ বারও সেই শঙ্কা বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy