—প্রতীকী ছবি।
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সামলাতে আগামী জুন পর্যন্ত আমদানি করা কয়লা নির্ভর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে পুরোদমে উৎপাদন চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। দেশীয় কয়লার জোগান পর্যাপ্ত না হওয়ার কথা বলে অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে নির্দেশ, কয়লার জোগানে ঘাটতি ৬% পেরোলেই তার সঙ্গে আমদানি করা কয়লা মেশানোর ভাগ বাড়াতে হবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে অল ইন্ডিয়া পাওয়ার এঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের (এআইপিইএফ) দাবি, ভারতে কয়লার সরবরাহে সঙ্কট নেই। খোদ কয়লা মন্ত্রক উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলেছিল। তাই হয় কেন্দ্র নির্দেশ প্রত্যাহার করুক, নয়তো কয়লা আমদানির বাড়তি খরচ বহন করুক।
বছর দুয়েক ধরে চড়া গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বিপুল বেড়েছে। ঘাটতির জেরে লোডশেডিংয়ের অভিযোগও উঠেছে। কোনও কোনও পক্ষের দাবি, ভোটের আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। তবে এআইপিইএফের অভিযোগ, দেশে উৎপাদন কমলে অল্প করে আমদানি করা কয়লা মেশানোর চল আছে। কিন্তু এ বার উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি খোদ সরকারের। সংগঠনের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র দুবের ক্ষোভ, চলতি অথর্বর্ষে গত ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে কয়লা উৎপাদন ১২.৭৩% বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে কয়লা মন্ত্রকই। বলেছে, বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে উৎপাদন আরও বাড়ানো হচ্ছে। আসলে কয়লা, বিদ্যুৎ ও রেল মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না। ৭৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার মজুত ভান্ডার সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। তাঁর দাবি, কয়লা আমদানি করে মেশালে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ৭০ পয়সা থেকে ১.১০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। যা পরে গ্রাহকের কাঁধেই চাপতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy