দেশে নেট মারফত বিক্রিবাটা বাড়ছে লাফিয়ে। সমীক্ষায় দাবি, দীপাবলিতে তা তাক লাগানোর মতো চড়েছে। আর অনলাইনে কেনা পণ্য দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসায় তৈরি হয়েছে নজির।
ই-কমার্স সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ইউনিকমার্স ওই সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর দীপাবলিতে নেট বাজারে খুচরো ব্যবসা বেড়েছে ২৪%। যে সব নেট বাজার গ্রাহকের হাতে খুব তাড়াতাড়ি পণ্য পৌঁছে দেয়, সেই কুইক কমার্সের ব্যবসা বৃদ্ধির হার নজির গড়ে ছুঁয়েছে ১২০%। সাধারণ দোকান-বাজারেও দীপাবলির ব্যবসা এ বারই প্রথম ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশ জুড়ে খুচরো দোকানের ব্যবসায়ীদের মতোই নেটে কেনাকাটা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বহু জিনিসে জিএসটি কমে যাওয়াকেই তুলে ধরছে সমীক্ষা।
মোদী সরকার বলেছিল, এ বছর উৎসবের মরসুমে ৭ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে মনে করছে তারা। বাড়তি কেনাকাটার প্রবণতা স্পষ্ট ই-কমার্সগুলির ওয়েবসাইটেও। ইউনিকমার্স জানিয়েছে, দীপাবলি এবং তার আগের ২৪ দিনের মোট বিক্রির হিসাব ধরা হয়েছে তাদের সমীক্ষায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, নেট বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ঘর সাজানো ও সাজগোজের জিনিস, জামাকাপড় ইত্যাদির চাহিদা ছিল তুঙ্গে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলি থেকে ৫৫% কেনাকাটা হয়েছে। ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শীর্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির শহর (২৮%)।প্রথম শ্রেণির বড় শহরে এই হার ২৪%। তৃতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে ২৩%।
সমীক্ষায় এটাও দাবি, কেনাকাটার পরে সংস্থা পণ্য হাতে পেলে টাকা দেওয়া অর্থাৎ ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’-র প্রবণতা বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২২%-২৩%। আর অনলাইনে আগে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২৬%। পণ্য কেনার পরে তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়ার সময়ও গত বছরের তুলনায় ১৫% কমেছে।
অন্য দিকে, বিশেষজ্ঞ সংস্থা রেডসিরের সমীক্ষা বলছে, উৎসবের দু’মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) নেটে যে সব পণ্য কেনাকাটা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে মোবাইল ফোন-সহ বিবিধ বৈদ্যুতিন পণ্য। অন্যান্য জিনিসের চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাদের দাবি, মূলত উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থার নতুন পণ্য বাজারে আনা এবং ক্রেতা টানার নানা রকম উদ্যোগ সফল হয়েছে। দৈনন্দিন পণ্য, গৃহস্থালির সাজসজ্জা এবং প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা গোটা বছর ধরেই থাকে। ফলে উৎসবের সময় বিরাট না হলেও, সেগুলির বিক্রি ভাল বেড়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে নেট বাজারে যে সব ধরনের পণ্য বিক্রিই বাড়ছে, তা আরও স্পষ্ট হয়েছে উৎসবের কেনাকাটায়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)