এ দেশে গাড়ি তৈরির পরিকল্পনার কথা জানাল চিনের দুই গাড়ি সংস্থা, গ্রেট ওয়াল মোটর (জিডব্লিউএম) ও হাইমা অটোমোবাইল। রয়টার্স
ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে চাকা বসেছে গাড়ির। চাহিদার অভাবে বিক্রি তলানিতে। দেশের অতি বড় আশাবাদীও খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি শিল্পের কপাল ফেরার তেমন লক্ষণ দেখছেন না। তবে বুধবার গাড়ি মেলার প্রথম দিনটিকে মাটি করতে পারল না এই সব হতাশা। উল্টে শোনা গেল নাগাড়ে চোট খাওয়া ভারতের গাড়ি বাজারের বিপুল সম্ভাবনার কথা। যে সম্ভাবনায় ভরসা রেখে লগ্নির বার্তা দিল পড়শি মুলুক। অটো এক্সপো থেকেই এ দেশে গাড়ি তৈরির পরিকল্পনার কথা জানাল চিনের দুই গাড়ি সংস্থা, গ্রেট ওয়াল মোটর (জিডব্লিউএম) ও হাইমা অটোমোবাইল।
জিডব্লিউএমের দুই কর্তা হরদীপ সিংহ ব্রার ও কৌশিক গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের তালেগাঁওতে জেনারেল মোটরসের (জিএম) কারখানা কিনছেন তাঁরা। বাজারে নতুন গাড়ি আনবেন ২০২১ সালে। প্রচলিত জ্বালানি, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড (প্রচলিত জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক, দু’টিই থাকে), সব ধরনের গাড়ি তৈরির পাশাপাশি ভারত থেকে সেগুলি রফতানি করা হবে। হাইমা-ও ভারতে বৈদ্যুতিক ও প্রচলিত জ্বালানির গাড়ি তৈরিতে আগ্রহী। সংস্থার প্রতিনিধি বেকি গিউ বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য এ দেশেরই বার্ড ইলেকট্রিকের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন তাঁরা। আর ভারতীয় সহযোগীর খোঁজ চলছে প্রচলিত জ্বালানির গাড়ি তৈরির জন্য। বার্ড ইলেকট্রিকের ডিরেক্টর অঙ্কুর ভাটিয়ার বার্তা, মানেসরে দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগের কারখানা থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি ভারতের বাজারে আসবে ১৮ মাসের মধ্যে।
চিনা সংস্থা এসএআইসি-র ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এমজি মোটর অবশ্য গত বছরই পা রেখেছে এ দেশে। পরিকল্পিত ৫,০০০ কোটি টাকার মধ্যে ২০০০ কোটি লগ্নিও করেছে এমজি মোটর ইন্ডিয়া। সংস্থার কর্তা গৌরব গুপ্তের দাবি, বাজার এখন যেমনি হোক, জনসংখ্যার নিরিখে ভারতে গাড়ির সংখ্যা এখনও এতটাই কম যে, এই শিল্পের সম্ভাবনা বিপুল।
গাড়ি মেলার আয়োজক সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের কর্তারা বলছেন, কাহিল অর্থনীতি মেলা নিয়ে আগ্রহ মোটেই ফিকে করেনি। বরং এখনও পর্যন্ত গত বারের তুলনায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১০%। দেশি-বিদেশি বহু সংস্থা তুলে ধরেছে একগুচ্ছ নতুন ও ভবিষ্যতের গাড়ি। তাই শিল্প জপছে একটাই মন্ত্র, এই মেলার থেকে জ্বালানি নিয়েই ফের উড়ান নিক বিক্রি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy