দেশের ইন্টারনেট পরিষেবার বাজারে ক্রমশ বাড়ছে প্রতিযোগিতা। কিন্তু সেই দৌড়ে কখনওই খুব একটা স্বচ্ছন্দ নয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল। তাই ঘুরে দাঁড়াতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় গতি বাড়াচ্ছে তারা। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ‘স্পিড’ ২ এমবিপিএস (মেগা বাইট পার সেকেন্ড) করার কথা সোমবার জানিয়েছে সংস্থা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই পরিষেবা চালু করবে বিসএনএল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সোমবার গুড়গাঁওয়ে বিএসএনএল ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম ২ এমবিপিএস প্রকল্পের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ইন্টারনেটের গতি বাড়লে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিও এগিয়ে যাবে বলে তাঁর দাবি। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ইন্টারনেট পরিষেবার গতি চার গুণ বাড়িয়েছি আমরা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের দরজায় তা পৌঁছে দেব। এ জন্য বাড়তি খরচ লাগবে না।’’
বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ হল, মাঝে মধ্যেই এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নয়তো পরিষেবার গতি এতটাই খারাপ যে, ইন্টারনেটে কোনও কাজই করা সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতিতে বহু গ্রাহকই এই পরিষেবা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মোবাইল ফোনের মতো ল্যান্ডলাইন পরিষেবার ক্ষেত্রেও তাই বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে ব্যবসা হারাচ্ছে বিএসএনএল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে সংস্থা ১.৭৮ কোটি মোবাইল এবং ২০ লক্ষ ল্যান্ডলাইন গ্রাহক হারিয়েছে। এবং টাকার অঙ্কে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা।
এখন বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি ৫১২-কেবিপিএস। কিন্তু বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে শুরুটা ২৫৬-কেবিপিএস থেকে হলেও তাদের ২ এমপিবিএস গতির প্যাকেজও রয়েছে। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-ও ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি বাড়ানোর কথা শীঘ্রই জানাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy