৫জি ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এ বার পা রাখতে চলেছে ‘ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড’ বা বিএসএনএল। খুব দ্রুত কলকাতা-সহ সারা দেশে এই পরিষেবা চালু করবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা। ‘কোয়ান্টাম ৫জি’র ব্যানারে গ্রাহকদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বিএসএনএলের ৫জি চালু হলে জিয়ো, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়ার (ভিআই) মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি যে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা সূত্রে খবর, সারা ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করতে ৯০ হাজার টাওয়ার চালু করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও কিছু টাওয়ার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বাণিজ্যিক এবং এন্টারপ্রাইজ়— দু’জায়গাতেই এই পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারি টেলিকম সংস্থা। এর জন্য বর্তমানে পুরোদম চলছে ট্রায়াল।
বিএসএনএলের এই ৫জি পরিষেবা আর পাঁচটা টেলি যোগাযোগের মতো নয়। এতে ‘ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস’ পাবেন গ্রাহক। ফলে কোনও রকম সিমকার্ড ছাড়াই উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন তাঁরা। বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সরকারি টেলিকম সংস্থাটি দিল্লি, জয়পুর, লখনউ, চণ্ডীগড়, ভোপাল, পটনা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং কলকাতায় ‘কোয়ান্টাম ৫জি’র ট্রায়াল চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্লেষকদের একাংশ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিএসএনএলের এই ৫জি পরিষেবাকে পরবর্তী প্রজন্মের টেলি নেটওয়ার্ক হিসাবে গণ্য করেছেন। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের (টিসিএস) নেতৃত্বে একে গড়ে তোলার নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে তেজস নেটওয়ার্ক, সি-ডট এবং আইটিআইয়ের। সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে বা অগস্টে নতুন পরিষেবা চালু করতে পারে এই সরকারি টেলিকম সংস্থা। যদিও এ ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
গ্রাহকদের কাছে উন্নত ৫জি পরিষেবা পৌঁছে দিতে ক্রমাগত টাওয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে বিএসএনএল। সূত্রের খবর, ৪জ়ি টাওয়ারগুলিকেই ৫জিতে রূপান্তরিত করছে এই সরকারি টেলিকম সংস্থা। অচিরেই তাদের মোট টাওয়ারের সংখ্যা লাখে পৌঁছোবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে তার আগেই বিশেষ কিছু সার্কেল এবং মেট্রো শহরগুলিতে চালু হতে পারে ‘কোয়ান্টাম ৫জি’ পরিষেবা।