Advertisement
E-Paper

লগ্নিতে সব হারানো রুখতে জোড়া বিল

ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকার প্রথম বাজেটে ঘোষণা করেছিল, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা দমনে কড়া আইন জরুরি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫৮
সর্বস্বান্ত: সব খুইয়ে কান্না লগ্নিকারীর। —ফাইল চিত্র।

সর্বস্বান্ত: সব খুইয়ে কান্না লগ্নিকারীর। —ফাইল চিত্র।

দু’জোড়া আইন ছিলই। কিন্তু সেগুলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সারদার মতো সংস্থা বার বার লগ্নি প্রকল্পের নাম ও ধাঁচ পাল্টে মানুষের টাকা নয়ছয় করেছে। এ বার তাই অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্প রুখতে ও চিট ফান্ড আইন সংশোধনে নতুন দু’টি বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।

ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকার প্রথম বাজেটে ঘোষণা করেছিল, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা দমনে কড়া আইন জরুরি। দু’বছর আগে বাজেটে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ফের আইন আনার কথা ঘোষণা করেন। লোকসভা ভোটের আগের বছরে অবশেষে আজ মঙ্গলবার সেই আইন আনতে সংশ্লিষ্ট দু’টি বিলে সিলমোহর বসাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

পশ্চিমবঙ্গে সারদা, রোজ ভ্যালির মতো সংস্থার হাতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পঞ্জাবে পার্ল সংস্থায় টাকা রেখে পথে বসেছেন অনেকে। পাশাপাশি, নীরব মোদী-বিজয় মাল্যের মতো একের পর এক কেলেঙ্কারিতে আমজনতা প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাঙ্কে তাঁদের জমানো টাকা থেকে ঋণ হাতিয়েই কি এই সব শিল্পপতিরা বিদেশে গা-ঢাকা দিচ্ছেন? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেলেঙ্কারির ধাক্কায় শেয়ার বাজারে ধস নামায় পিপিএফ-ইপিএফের টাকার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ওই সব তহবিলের অর্থও বাজারে খাটছে।

রাশ টানতে

• বেআইনি ভাবে অর্থ সংগ্রহ রুখতে অনেক বেশি কড়াকড়ি

• টাকা তোলার আগেই তা রুখতে বেআইনি সঞ্চয় প্রকল্প চালানোয় শাস্তির নিদান

• টাকা তুলে ফেরত না দিলে কড়া শাস্তি

• টাকা ফেরত নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ গড়বে বিভিন্ন রাজ্য

• তাদের হাতে ভুয়ো সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ক্ষমতা

• নতুন আইন কার্যকর করার দায়িত্বে নির্দিষ্ট আদালত

• কোন কোন সঞ্চয় প্রকল্প আইনি, তার তালিকা তৈরি

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্প নিষেধাজ্ঞা বিল ২০১৮-র পাশাপাশি চিট ফান্ড আইনেও সংশোধন করে বিল আসবে সংসদে। সারদার মতো সংস্থাকে ‘চিট ফান্ড’ বলা হলেও সেগুলি আইনি সংজ্ঞায় চিট ফান্ডের আওতায় পড়ে না। এগুলির জন্য আলাদা আইন আছে। কিন্তু সেই আইনে বেআইনি চিট ফান্ডগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। অথচ গরিব মানুষরা অনেক সময়েই টাকার জন্য নির্ভর করেন চিট ফান্ডের উপরে। তাই তার আইনমাফিক বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে চায় কেন্দ্র।

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ন্ত্রণে ১৯৭৮ সালে প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিম (ব্যানিং) অ্যাক্ট ও ১৯৮২ সালে চিট ফান্ড আইন তৈরি হয়। সেই আইন এড়াতে এ ধরনের সংস্থা মেয়াদি জমা বা ‘টার্ম ডিপোজিট’ ও বাজার থেকে টাকা সংগ্রহে ‘কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমে’ টাকা তুলতে শুরু করে। ১৯৯২ সালে সেবি আইনে কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়। তার অনেক আগেই, ১৯৩৪-এর আরবিআই আইনে টার্ম ডিপোজিট স্কিমে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে এই চার আইনের ফাঁকফোকর গলেই বাড়বাড়ন্ত হয় সারদার মতো সংস্থার।

Rose valley Chit fund Amendment Bill Cabinet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy