রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ গত কয়েক বছরে যথেষ্ট উঁচুতে পৌঁছেছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক-কে বিশেষ নজরদারির আওতায় পাঠিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চাপানো হয়েছে বিধিনিষেধ। উঠছে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু এর জেরে ছোট-বড় ব্যবসায় নতুন করে ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে পারছেন না ব্যাঙ্ক কর্তারা। ফলে শিল্পঋণও গতি হারিয়েছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা যাতে অযথা হেনস্থা না-হন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র। এর জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনারের অধীনে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি। ওই কমিটি অভিযোগ যাচাই করার আগে অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার এবং তার উপরের পদের অফিসাররাই নতুন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। এ ছাড়া ৫০ কোটি বা তার বেশি টাকার লেনদেনে গরমিলের অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করবে ওই কমিটি।
সম্প্রতি শীর্ষ ব্যাঙ্কের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, সৎ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল হওয়া এবং দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সিদ্ধান্তে ভুল হলে যাতে হেনস্থা করা না-হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy