ধর্মেন্দ্র প্রধান
পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে একগুচ্ছ পেট্রোকেম তালুক গড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
দেশে জ্বালানি তেল এবং অন্যান্য পেট্রোপণ্যের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত। রফতানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে তা মেটানোই এই পরিকল্পনার মূল কারণ বলে শনিবার জানিয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
এ প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, ‘‘দেশে অনেকগুলি পেট্রোকেম তালুক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে দু’টি করে। দক্ষিণ ভারতে আরও কয়েকটি।’’ তাঁর দাবি, প্রতিটি তালুকে তেল শোধনাগার থাকবে। যাতে পেট্রোকেম শিল্পের পুরো চেন এক জায়গায় থাকে। তালুকগুলিকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে অনুসারী শিল্প।
এ ধরনের প্রকল্পের উপযোগিতা বোঝাতে গিয়ে দক্ষিণ গুজরাতের দহেজে দেশের অন্যতম বৃহৎ পেট্রোকেম কারখানা ওএনজিসি পেট্রো অ্যাডিশন্সের কথা তোলেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ওই কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক অনুসারী শিল্প। তাদের সম্ভাব্য লগ্নি ৬০০-৭০০ কোটি ডলার (৩৯-৪৬ হাজার কোটি টাকা)।
রফতানি নির্ভরতা কমাতে হালে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় রাজাপুরের কাছে বাবুলওয়াড়িতে দেশের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ও পেট্রো-রসায়ন কেন্দ্র গড়ার কথা ইতিমধ্যেই বলেছে তারা। সম্ভাব্য লগ্নি ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। যৌথ ভাবে তা তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। বছরে ৬ কোটি টন উৎপাদন ক্ষমতার এই শোধনাগারে কিছুটা অংশীদারি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের ‘তেল দৈত্য’ আরামকো-ও।
এ ছাড়া, সম্প্রতি এইচপিসিএলে সরকারের অংশীদারি (৫১.১%) ওএনজিসি-কে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, এর দৌলতে তৈরি হবে বিপুল বপু তেল সংস্থা। যা টক্কর দিতে পারবে বহুজাতিকের সঙ্গে। এক ছাদের তলায় আসবে তেল তোলন ও শোধন। সুবিধা হবে বিশ্ব বাজারে দামের ওঠা-পড়া সামলাতেও। বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে ভারতে। এই বাজার ধরতে পেট্রোল পাম্প খোলার কথা বলেছে বিপি। পাম্পের সংখ্যা বাড়াতে চায় রিলায়্যান্স। খুলতে সায় পেয়েছে হলদিয়া পেট্রোকেমও। আগামী দিনে তা করতে চায় সৌদি আরামকো, রসনেফ্টের মতো সংস্থাও। প্রতিযোগিতার দরজা খুলতে তেলের দাম রোজ ঘোষণার নিয়মও চালু হয়েছে। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এ বার পরিকল্পনা তালুক নির্মাণের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy