গত মাসের শুরুতে গো ফার্স্টের পরিষেবা বন্ধ হওয়া তো ছিলই। গত সপ্তাহে ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় পরে আরও মাথাচাড়া দিয়েছে বিমান টিকিটের ভাড়া। এই অবস্থায় সোমবার বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলিকে টিকিটের দাম যাতে মানুষের আয়ত্তের মধ্যে থাকে, তার ব্যবস্থা তৈরি করতে বলল কেন্দ্র। পাশাপাশি সংস্থাগুলিকে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে বলেছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ দুর্ঘটনার পরেই গত শুক্রবার সংস্থাগুলিকে টিকিটের দামে রাশ টানতে বললেও, তা কাজে আসেনি। উল্টে সর্বনাশের প্রহরে এই শিল্প পৌষের ফসল তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল রবিবারই। জানা গিয়েছিল, কলকাতা থেকে চেন্নাই যাওয়ার ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৫০,০০০ টাকা। যা কি না স্বাভাবিকের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ। একই অবস্থা বেঙ্গালুরুর বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রেও। যদিও সংস্থাগুলির দাবি ছিল, কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া নিয়ম মেনেই ভাড়া স্থির করছে তারা। এ নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছিলেন বিরোধীরা।
এর পরেই আজ সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে কিছু রুটে চড়া ভাড়া নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা জানান বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাদের বলেন, যে সমস্ত রুটে (বিশেষত যেগুলিতে গো ফার্স্ট পরিষেবা দিত) টিকিটের দাম বেশি, সেগুলিতে নজরদারি করুক তারা।
পাশাপাশি বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, এমন ব্যবস্থা তাদের তৈরি করতে হবে, যাতে ভাড়া সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। সেই ব্যবস্থায় নজর রাখবে ডিজিসিএ। আর বিভিন্ন দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ভাড়াকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণও করতে হবে সংস্থাগুলিকে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান শিল্পের একাংশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)