—প্রতীকী চিত্র।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) নিয়ন্ত্রণের নীতি তৈরিতে ভারসাম্য রাখতে চায় ভারত। লক্ষ্য— এক দিকে, এই প্রযুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ভাবনার বিকাশ ঘটানো। অন্য দিকে, ব্যবহারকারী মানুষের ক্ষতি রোধ করা। এ কথা জানিয়ে মঙ্গলবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এস কৃষ্ণনের দাবি, সেই কারণেই এমন নীতি নিয়ে যে সব দেশ এই মুহূর্তে কাজ করছে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পদক্ষেপ খতিয়ে দেখছে সরকার।
তথ্যপ্রযুক্তির নতুন অধ্যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশ্বে তাই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। একাংশ একে ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতিতে অসাধ্য সাধন এবং কাজের পরিসর চওড়া হওয়ার আশা করলেও, অন্য অংশ আঙুল তুলছে বেকারত্ব বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত ও গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার ভঙ্গের মতো আশঙ্কার দিকে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের সভায় এআই নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনা তুলে ধরেন সচিব। বলেন, এমন প্রযুক্তি নানা ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে তাকে ঘিরে বিভিন্ন উদ্বেগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি রূপায়ণের জন্য ভারসাম্যের নীতি তৈরির বার্তা দিয়েছেন তিনি। যা উদ্ভাবনী ভাবনাকে রোধ করবে না, কিন্তু ঝুঁকিকে আটকে দেবে। এই জন্যই আমেরিকা, ইউরোপ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশের এআই নিয়ে পদক্ষেপ ভারত খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। কৃষ্ণন বলেন, ‘‘সিঙ্গাপুর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেছে। অন্যান্য দেশও করবে বা করতে চলেছে। সেই সব খতিয়ে দেখা ছাড়াও ভারতের পরিস্থিতি বুঝে এবং চালু আইন পর্যালোচনা করে এগোতে হবে।’’
এ দিন সকালে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে সরকারি গবেষণা সংস্থা সি-ড্যাকের সভার ফাঁকে ‘ডিপফেক’ বিতর্কে ফের কেন্দ্রের কড়া অবস্থানের বার্তা দেন কৃষ্ণন। কৃত্রিম মেধা নির্ভর যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তারকাদের ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে সওয়াল করেছেন কৃষিতে ভারসাম্য রেখে প্রযুক্তি ব্যবহারেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy