প্রতীকি ছবি
এ বার নেট বাজারে ক্রেতার স্বার্থ বাঁচাতে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে ব্যবসা করে এমন সমস্ত সংস্থার ওয়েবসাইটে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হবে তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রেজিস্টার্ড অফিসের ঠিকানা, টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর, ই-মেল ইত্যাদি। সেই সঙ্গে ক্রেতারা কোনও কিছু জানতে চাইলে বা তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে সংস্থার কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাঁর নাম ও যোগাযোগের বিশদ তথ্যও উল্লেখ করতে হবে সেখানে। সে ক্ষেত্রে সাইটে গেলে প্রথম যে ওয়েবপেজ (হোম পেজ) খুলে যায় সেখানেই রাখতে হবে ওই সব তথ্য। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অনলাইন পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণেই এই বিধি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
দেশি-বিদেশি উদ্যোগ পুঁজির নজর। উন্নত প্রযুক্তি। লাফিয়ে বাড়তে থাকা নেট-নির্ভর প্রজন্মের ক্রেতা। সব মিলিয়ে ই-কমার্স বা নেট বাজারের রকেট গতির উত্থানের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে ভারত। কিন্তু এই রমরমার মাঝেই ঈশান কোণে জমতে শুরু করেছে মেঘ। ক্রমশ চোরাই ও নকল পণ্যের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে ভারতীয় অনলাইন বাজার।
সম্প্রতি এ নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছে বণিকসভা ফিকি ও আন্তর্জাতিক উপদেষ্ট গ্রান্ট থর্নটন। যেখানে উঠে এসেছে নেট বাজারের এই দুর্বলতার কথা। ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই বাজার ক্রমশ নকল জিনিস লেনদেনের ‘হাব’ বা কেন্দ্র হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছে তাদের রিপোর্ট। গ্রান্ট থর্নটন ইন্ডিয়ার পার্টনার বিদ্যা রাজারাওয়ের মতে, অনলাইন বাজারকে নতুন পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে চোরাই ও নকল ব্যবসার জগত। তিনি বলেন, ‘‘এই বাজারের মাধ্যমে বিরাট সংখ্যক ক্রেতার কাছে পৌঁছে যেতে পারছে চোরাই ও নকল জিনিসের বিক্রেতারা। নির্দিষ্ট আইনের অভাবে নেট বাজার খুব সহজেই শিকার হচ্ছে বেআইনি ব্যবসার।’’
আর এই দুর্বলতাই ফের উস্কে দিচ্ছে ই-কমার্সের জন্য আলাদা আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি। খুচরো ব্যবসা চালানো ইঁট-কাঠ-পাথরের দোকানপাট কেন্দ্রের কাছে এ রকম পৃথক আইনের দাবি জানিয়েছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (আরএআই) প্রধান কুমার রাজাগোপালনের অভিযোগ, নির্দিষ্ট আইন না থাকার সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। আর এই আইনের অভাবেই ই-কমার্স সংস্থাগুলি নকল জিনিস লেনদেনের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের ‘মার্কেটপ্লেস’ তকমা দিয়ে নকল পণ্য বিক্রির দায় নিচ্ছে না তারা। অথচ ৭০% ক্রেতা ওই সংস্থাগুলিকেই চেনে বিক্রেতা হিসেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy