দেশের বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু বদল মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ গতবারের থেকে বাড়িয়েছে কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে এই মন্ত্রকের জন্য ৩৪১২.৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর এই মন্ত্রকের জন্য প্রথমে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩৩৩০.৩৭ কোটি টাকা। পরবর্তী কালে তা পরিমার্জন করে ৩১২৫.৯৬ কোটি টাকা করা হয়েছিল। এ বার বরাদ্দের মধ্যে অরণ্য এবং বন্যপ্রাণী রক্ষাতেও কিছু ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
তবে অরণ্য এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় ঘোষিত বরাদ্দ শেষমেশ অপরিবর্তিত থাকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকে এ-ও বলছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই অরণ্য এবং বন্যপ্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে মানুষের সঙ্গে সংঘাতও। এই পরিস্থিতিতে এই ক্ষেত্রের বাজেটে আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
অরণ্য এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বাজেটে বেশ কিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেখা গেলেও অনেকেরই পর্যবেক্ষণ, আগের বাজেটেও অরণ্য এবং বন্যপ্রাণ রক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা পরবর্তী কালে অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়।
যেমন, ‘প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট এবং টাইগার’-এর আওতায় বন্যপ্রাণীর বাসস্থল উন্নয়নে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। গত বছরে বাজেটে প্রথমে ৪৫০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছিল এবং পরবর্তী কালে তা পরিমার্জন করে ৪০০ কোটি টাকা করা হয়। এ বার
‘ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটি’-র জন্য ৩৬.৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে গতবার প্রথমে বরাদ্দ ছিল ৩৫ কোটি টাকা এবং পরে তা কমিয়ে ৩০.৮৬ কোটি টাকা করা হয়েছিল।
দাবানল প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে গতবার প্রথমে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেও তা কমিয়ে ৩৬ কোটি টাকা করা হয়েছিল। এ বারও ওই ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ
করা হয়েছে। জীববৈচিত্র রক্ষায় এ বার মোট ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর প্রথমে বরাদ্দ ছিল ৪৩.৫০ কোটি টাকা, কিন্তু পরিমার্জিত বাজেটে তা ৩০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)