প্রতীকী ছবি।
মোবাইল অ্যাপের পরে এ বার কেন্দ্রের নিশানায় চিনা টেলিকম যন্ত্রাংশ। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাতের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল আগেই। সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদী সরকার এ বার টেলি যোগাযোগ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি চিনা সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বুধবার জানান, কেন্দ্রের তরফে শীঘ্রই টেলি যন্ত্রাংশ সরবরাহের অনুমোদনপ্রাপ্ত বিদেশি সংস্থাগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে টেলিকম ক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ‘বিশ্বস্ত’ এবং ‘অবিশ্বস্ত’ প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকা প্রকাশ করা হবে।’’
এই সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর। সরকারি সূত্রের খবর, ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মতো কিছু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চিনা কোম্পানি হুয়েইয়ের প্রযুক্তিগত সমঝোতা রয়েছে। মোবাইল পরিষেবায় চিনা সংস্থার অনুপ্রবেশের জেরে সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাগত আশঙ্কা থাকায় বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘আশ্বাস অর্থহীন’, কৃষকদের নিয়ে কমিটি চাইল সুপ্রিম কোর্ট
সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে জানিয়েছিলেন, বিএসএনএল-এ দুই চিনা সংস্থা জেডটিই ও হুয়েইয়ের যন্ত্রাংশের অংশীদারি যথাক্রমে ৪৪ এবং ৯ শতাংশ। রিলায়্যান্স, আইডিয়া-সহ বিভিন্ন বেসরকারি মোবাইল পরিষেবা সংস্থাও চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি টেলিকমে ‘চিনা প্রভাব’ কমানোর কথাও বলেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে তিন দফায় শতাধিক চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিধায়ক পদ ত্যাগ করলেও মুখে কুলুপ শুভেন্দুর, দিল্লি যাত্রা কি বৃহস্পতিবারই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy