সৌর বিদ্যুতে গাড়ি বা বিমান চালানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে আগেই। এ বার ট্রেনের ছাদে সৌর-প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি হিসেবে তার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। মাস দুয়েকের মধ্যে আমদাবাদে পাইলট প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। পরীক্ষা সফল হলে এই ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নির আরও একটি দরজা খুলে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট মহলের।
এখন বেতন খাতে ভারতীয় রেলের খরচ সবচেয়ে বেশি। তার পর জ্বালানিতে। ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির খরচ কমাতে রেল বাজেটেই অপ্রচিলত শক্তির ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সৌর বিজ্ঞানী শক্তিপদ গণচৌধুরীর মতে, সে ক্ষেত্রে ট্রেনের ছাদে প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ তৈরি লাভজনক হতে পারে।
কলকাতার অর্ক রিনিউয়েবল এনার্জি কলেজের চেয়ারম্যান শান্তিপদবাবু কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের কাছে এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি কলকাতায় হর্ষবর্ধনের সঙ্গে তাঁর এ নিয়ে বৈঠক হয়। মন্ত্রক এ ব্যাপারে পরে নীতিগত সায় দিয়েছে।
শান্তিপদবাবুর দাবি, এই পদ্ধতি তুলনায় সহজ। কারণ, জায়গা বেশি। ফলে বিদ্যুৎ তৈরিও হয় অনেক। প্রাথমিক হিসেবে তাঁরা দেখেছেন, মালগাড়ি বা দূরপাল্লার ট্রেনের ছাদে অন্তত ১৫০ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়। চলন্ত ট্রেনের জ্বালানির প্রায় ২০% এ ভাবে মেটানো সম্ভব। বৈদ্যুতিক ট্রেনের চাহিদার একাংশও পূরণ করা যায় এই ভাবে।
কলকাতার সংস্থা বিক্রম সোলার-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সমুজ্জ্বল গঙ্গোপাধ্যায়ও মনে করছেন, বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে সৌর বিদ্যুৎ ও যন্ত্রাংশ শিল্পে নতুন সম্ভাবনা খুলবে।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা- নিরীক্ষা চালাতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রকের একটি ট্রেন আছে। আপাতত সেটি আমদাবাদে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে সেখানে ওই ট্রেনেই চালু হবে এর পাইলট প্রকল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy