মাথার উপর ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। সে রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তা এড়াতে আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কের কাছে ‘টিকটিক আমেরিকা’ বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ‘বাইটড্যান্স’ কর্তারা। একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে তেমনটাই। পুরো বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহল ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে সোমবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ়ে’।
আরও পড়ুন:
আমেরিকায় ‘টিকটক’-এর ভাগ্য ঝুলছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের হাতে। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ করা যেতে পারে কিনা তা নিয়ে শুক্রবার আড়াই ঘণ্টা যুক্তি, পাল্টা যুক্তি শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি শেষে প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করার আইন বহাল রাখার ইঙ্গিতই দিয়েছেন বিচারপতিরা। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, চাইলে ‘টিকটক আমেরিকা’কে বিক্রি করে দিতে পারে মূল সংস্থা। অর্থাৎ, আমেরিকার বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ১৯ জানুয়ারির আগেই ‘বাইটড্যান্স’ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে ‘টিকটক’কে।
আরও পড়ুন:
তবে এখনও নাকি আশা ছাড়ছেন না ‘বাইটড্যান্স’ কর্তারা। ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের রায় যদি ‘টিকটক’-এর পক্ষে যায়, তা হলে ‘টিকটক আমেরিকা’র মালিকানা নিজের হাতেই রাখবে সমাজমাধ্যমটির মূল সংস্থা ‘বাইটড্যান্স’। কিন্তু যদি তা বিপক্ষে যায়, তা হলে নাকি তারা তা বিক্রি করে দিতে পারে ইলনের কাছে। আর যদি বিষয়টি সে দিকেই গড়ায়, তা হলে ‘টিকটক আমেরিকা’র নিয়ন্ত্রণ নেবে ইলনের মালিকানাধীন সমাজমাধ্যম ‘এক্স’। একসঙ্গে ব্যবসাও করবে। যদিও প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, পুরো বিষয়টির কী ভাবে নিষ্পত্তি হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও দৃঢ় ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি চিনা কর্তারা এবং তাঁদের আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি, বিষয়টি এখনও মুখ খোলেনি ‘টিকটক’। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মাস্কও।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত বছর চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘টিকটক’ আমেরিকায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাশ করেছে আমেরিকা। তার আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকারি কর্মচারীদের চিনা অ্যাপ ‘টিকটক’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকার সেনেট। টিকটক বাতিল করার আইন পাশ করে জানানো হয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ওই পদক্ষেপ। তার পরেই আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি।