Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Aadhar card

আধারে ফের টাকা চাওয়ার অভিযোগ

ইউআইডিএআইয়ের বক্তব্য, আধারে নাম নথিভুক্তির জন্য কোনও টাকা লাগে না।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:২৩
Share: Save:

আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, আর্থিক পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বহু দিন আগেই। করোনার আবহে ওই নম্বর ভিত্তিক পরিষেবা অনেক ক্ষেত্রে আরও বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আধারের জন্য নাম নথিভুক্ত করা কিংবা কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে ফের বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এর আগেও এমন অভিযোগ কয়েক বার উঠেছিল। অনেকেই বলছেন, সরকারি বা আর্থিক পরিষেবা পাওয়ার তাগিদে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাড়তি টাকার চাহিদা মিটিয়ে সেই সব কাজ সারতে। তবে আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) এবং রাজ্যের দাবি, অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সার্বিক ভাবে নজরদারিও চলছে। সেই সঙ্গে খরচ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে।

ইউআইডিএআইয়ের বক্তব্য, আধারে নাম নথিভুক্তির জন্য কোনও টাকা লাগে না। ওয়েবসাইট থেকে ই-আধার ডাউনলোড করলেও খরচ নেই। শুধু কার্ডের তথ্য সংশোধনের দু’টি ক্ষেত্রে দু’রকম খরচ (সঙ্গের সারণিতে বিস্তারিত) দিতে হয়। তবে সেটাও আগে থেকে বেঁধে দেওয়া আছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় কিছু স্বীকৃত বা ভুয়ো সংস্থা বেআইনি ভাবে বহু গুণ বেশি টাকা চাইছে। অনেক জায়গায় শিবিরের নাম করে আগাম প্রচার চালানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে জানতে পারছেন, আধার পরিষেবার জন্য কয়েক’শ টাকা দিতে হবে। তবে বাড়তি অর্থের জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। স্বীকৃত আধার কেন্দ্রে ইউআইডিএআইয়ের বেঁধে দেওয়া খরচের ক্ষেত্রে টাকা মেটালেই রসিদ মেলে। আর আধার কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গিয়ে বাড়তি সুরক্ষা কবচ-সহ নতুন ‘পিভিসি’ আধার কার্ডের আবেদন জানালে খরচ হয় ৫০ টাকা (জিএসটি ধরে)।

সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রের খবর, অতিমারি হানার পরে নতুন আধার আবেদন আগের তুলনায় কমেছে। তার উপরে করোনার আবহে সব ধরনের আধার কেন্দ্রই দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল। যে কারণে লকডাউন শিথিলের পরে এই কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য খোঁজখবর শুরু হয়। পরবর্তীকালে কিছু আধার কেন্দ্র খোলার পরে দেখা গিয়েছে কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্যই ভিড় হচ্ছে বেশি।

লকডাউন শিথিলের পরে ইউআইডিএআইয়ের আধার সেবা কেন্দ্র এবং ডাকঘরের কেন্দ্রগুলি চালু হয়েছে। এ ছাড়া, কিছু ব্যাঙ্ক এবং বিএসএনএলের কেন্দ্র খুলেছে। চলছে কমন সার্ভিস সেন্টারের কিছু স্বীকৃত আধার কেন্দ্রও। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দীর্ঘ দিন সব বন্ধ থাকায় সেগুলি যে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম, তা সেই সব কেন্দ্রে আগ্রহীদের উপচে পড়া ভিড়ই প্রমাণ করে দেয়। তাই দাবি উঠছে, বাড়তি টাকা চেয়ে আধারের কাজ করানোর নামে প্রতারণা ঠেকাতে আরও বেশি কেন্দ্র খোলা জরুরি।

ইউআইডিএআই সূত্রের বক্তব্য, বাড়তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেলেই তা খতিয়ে দেখে দ্রুত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে রাজ্য প্রশাসনের দাবি, এমন অভিযোগ যে প্রচুর পরিমাণে আসছে, তা নয়। তবে অভিযোগ এলে ইউআইডিএআইয়ের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট সেই কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয় কিংবা সেটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ভবিষ্যতেও সেটা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Aadhar card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE