আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাঠামোর পুনর্গঠন কার্যকর হতে চলেছে। তবে তার আগে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে ওষুধ-সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম পরিবর্তন ঘিরে। মঙ্গলবার এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি)। তবে একাংশের বক্তব্য, নতুন কাঠামোয় মামলা বাড়তে পারে।
সিবিআইসি জানিয়েছে, জিএসটির হার বদলের পরে বাজারে যে ওষুধ বিক্রি হবে তার দাম পরিবর্তন বাধ্যতামূলক। সে ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী সংস্থা এবং সরবরাহকারীরা খুচরো বিক্রেতাদের কাছে ওষুধের নতুন দামের তালিকা দেবে। যাতে খুচরো বিক্রেতাদের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে সেই তথ্য পৌঁছয়। এরই মধ্যে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলির বক্তব্য, নতুন কাঠামোয় তাদের বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে আজ, বুধবার বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জীবন বিমা সংস্থাগুলির শীর্ষ-কর্তারা।
এ দিন কলকাতায় মার্চেন্টস চেম্বারের এক সভায় জিএসটি বিশেষজ্ঞ অবিনাশ পোদ্দারের দাবি, ‘‘নতুন জিএসটি কাঠামো অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ নয়। এতে জিএসটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করদাতাদের মামলার আশঙ্কা বাড়বে।’’ যদিও আর এক বিশেষজ্ঞ বিমল জৈনের কথায়, ‘‘কর কমার সুবিধা ক্রেতাদের হাতে তুলে দেবে শিল্প।’’ সভায় কেন্দ্রীয় জিএসটির কলকাতা অঞ্চলের প্রধান কমিশনার শ্রবণ কুমার বলেন, ‘‘করের হার কমানোর সুবিধা যাতে ক্রেতারা পান, তা বাজারই নিশ্চিত করে দেবে।’’ পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য কর কমিশনার উমাশঙ্কর এস জানান, রাজ্য নতুন কাঠামো রূপায়ণে প্রস্তুত। তবে এক রাজ্য সরকারি সূত্রের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে ৫০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হতে পারে। তবে চাহিদা বাড়লে এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)