Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
BSE SENSEX

ভাল খবরে বাজার চাঙ্গা, তবু সরেনি আশঙ্কার মেঘ

চারপাশ থেকে আসা নানা সদর্থক বার্তায় ভর করে এগোতে থাকা এই বাজারে সংশোধনের কোনও জায়গা নেই। আর তাতেই বহাল আশঙ্কা। কারণ, লাগাতার উত্থানে মাত্রাতিরিক্ত চড়া বিশেষত ছোট এবং মাঝারি শেয়ার।

—প্রতীকী চিত্র।

অমিতাভ গুহ সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪১
Share: Save:

আশা জাগিয়ে শুরু হল নতুন অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫। প্রথম দিনেই ৩৬৩ পয়েন্ট লাফ দিয়ে সেনসেক্স ফের ঢুকে পড়ল ৭৪ হাজারের ঘরে। চতুর্থ দিনে গড়ল নতুন নজির। পঞ্চম দিনে পাড়ি দিল ৭৪,২৪৮ অঙ্কের আরও উঁচু শিখরে। চারপাশ থেকে আসা নানা সদর্থক বার্তায় ভর করে এগোতে থাকা এই বাজারে সংশোধনের কোনও জায়গা নেই। আর তাতেই বহাল আশঙ্কা। কারণ, লাগাতার উত্থানে মাত্রাতিরিক্ত চড়া বিশেষত ছোট এবং মাঝারি শেয়ার। একমাত্র সংশোধনের পতন সেগুলিকে নীচে নামিয়ে বাজারে ভারসাম্য আনতে পারে। যাতে মূলত ছোট লগ্নিকারীরা বড় লোকসানের মুখে না পড়েন। নিফ্‌টিও নতুন নজির গড়ার পরে দাঁড়িয়ে ২২,৫১৪-এ।

যে সব খবর বাজারকে তেজী রেখেছে, সেগুলি হল—

  • মার্চে ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি আদায়। ২০১৭-এ চালুর পরে যা দ্বিতীয় বৃহত্তম। গোটা অর্থবর্ষে আদায় ১১.৭% বেড়ে পৌঁছেছে ২০.১৮ লক্ষ কোটিতে। নিট প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ বেড়েছে ১৯.৮৮%। ১৭ মার্চ পর্যন্ত তার পরিমাণ ১৮.৯০ লক্ষ কোটি। ভাল কর আদায় অর্থনীতির ভিত পোক্ত হওয়ার ইঙ্গিত। কর সংগ্রহ বাড়লে বাজার থেকে সরকারকে ধারও কম করতে হয়।
  • গত অর্থবর্ষে ৪২ লক্ষ যাত্রিবাহী গাড়ির রেকর্ড বিক্রি। গাড়ি বিক্রি ভাল হলে, সহযোগী শিল্প চাঙ্গা হয়। বৃদ্ধির চাকায় গতি আসে।
  • কারখানায় উৎপাদনের পিএমআই সূচকের ফেব্রুয়ারির ৫৬.৯ থেকে বেড়ে মার্চে ৫৯.১ হওয়া এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে ৬০.৬ থেকে বেড়ে ৬১.২ হওয়া। দুই ক্ষেত্রের মিলিত সূচকও ৬০.৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬১.৮, আট মাসে সর্বোচ্চ। পিএমআই সূচক ৫০ উপরে থাকলে বৃদ্ধি, না হলে সঙ্কোচন।
  • উৎপাদন এবং পরিষেবা বৃদ্ধি চাহিদা ও কাজ বাড়ায়। ভাল হয় সংস্থাগুলির আর্থিক ফল।

তবে কিছু খারাপ খবরও রয়েছে। বাজার সেগুলিকে আমল না দিলেও, তার অনিশ্চিত প্রভাব এড়িয়ে যাওয়ার নয়। এর মধ্যে রয়েছে— বিশ্ব বাজারে তেলের বাড়তে থাকা দাম ও টাকার অবমূল্যায়ন। এখন এই সব কারণে ছোট মাপের সংশোধন না হলে, পরে বড় পতনের আশঙ্কা থাকবে।

এ বারও আরবিআই রেপো রেট (যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় আরবিআই) ৬.৫ শতাংশে স্থির রাখায় তেমন প্রভাব পড়েনি বাজারে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের অনুমান, জুলাই-সেপ্টেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি নামতে পারে ৩.৮ শতাংশে। ৪% লক্ষ্যের নীচে হওয়ায় সেটাই হবে সুদ কমানোর আদর্শ সময়। টাকার পতন রুখতে ডলার বিক্রি করতেও আপত্তি নেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের।

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BSE SENSEX Share Market Indian Econo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE