প্রতিশ্রুতি ছিল জিএসটি কমার পূর্ণ সুবিধা ক্রেতাদের হাতে পৌঁছবে। আর্থিক সাশ্রয় হবে তাঁদের। কিন্তু বাস্তবে তা কতটা হচ্ছে, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আজ সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্ট উল্লেখ করে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের কর কমার সম্ভাবনা যেই বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে, তখনই বিভিন্ন বড় সংস্থা তাদের জিনিসপত্রের দাম আগাম বাড়িয়ে রেখেছে। ফলে জিএসটি কমলেও সাধারণ মানুষের তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং বাড়তি মুনাফা যাচ্ছে সংস্থাগুলির পকেটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, দেশবাসী এখন ‘সাশ্রয় উৎসবে’ মেতেছেন। জিএসটি সংস্কার ভারতের উন্নয়নের গতি বাড়াবে। রমেশের দাবি, ‘‘সাশ্রয় নয়, হচ্ছে লোকসানের উৎসব।’’
গত ২২ সেপ্টেম্বর পরিবর্তিত জিএসটি কাঠামো কার্যকর হয়েছে। সাধারণের বহু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের করের হার ১২% থেকে নেমেছে ৫ শতাংশে। কিন্তু অনেক মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে, ওষুধ এবং বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পুরনো দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষত পাড়ার ছোট দোকানে। আজ রমেশ এক্স-এ একটি সংবাদ পোস্ট করেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বড় সংস্থাগুলি যখনই কর কমার সম্ভাবনা আঁচ করেছে, তখনই পণ্যের দাম ১০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। তার ফলে মানুষের পকেট থেকে উল্টে আগের তুলনায় বেশি টাকা বার হয়ে যাচ্ছে। রমেশের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন ভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার চলছে। কিন্তু বাস্তবে সাশ্রয়ের উৎসবের বদলে লোকসানের উৎসব চলছে। কর কমার সুবিধা যদি মানুষের কাছে সরাসরি না পৌঁছলে কী লাভ?’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)