বহু ক্ষেত্রেই আমেরিকার সংস্থা বা ব্যক্তি বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তিকে দিয়ে টাকার বদলে কাজ করিয়ে (আউটসোর্সিং) নেয়। উন্নত মেধা ও তুলনায় কম মজুরির কারণে এই বাজারে চাহিদা বিপুল ভারতের। এ বার ভূমিপুত্রদের কর্মসংস্থান বাড়াতে এই প্রক্রিয়াটাই বন্ধ করতে কোমর বেঁধেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সে জন্য বিদেশ থেকে কাজ করালে সংশ্লিষ্ট লেনদেনে আমেরিকার সংস্থা বা ব্যক্তির উপরে ২৫% কর বসানোর প্রস্তাব দিয়ে বিল পেশ হয়েছে আমেরিকার সেনেটে। সেই বিল নিয়েই এ বার আশঙ্কা প্রকাশ করল বিরোধী কংগ্রেস। মঙ্গলবার তাদের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, এতে ধাক্কা খাবে ভারতের অর্থনীতি। এক বছর আগেও বোঝা যায়নি যে, আমেরিকার সঙ্গে দেশের আর্থিক সম্পর্কে একের পর এক আঘাত আসবে। এক্স-এ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘হায়ার (প্রস্তাবিত বিল ‘হল্টিং ইন্টারন্যাশনাল রিলোকেশন অব এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট’) বাস্তবে আইনে পরিণত হলে তা ভারতের অর্থনীতিতে আগুন (ফায়ার) জ্বালিয়ে দেবে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, বিলটি আইনে পরিণত হলে বিদেশের সংস্থাকে দিয়ে আমেরিকায় কাজ করানোর প্রবণতা কমবে। এতে ধাক্কা খেতে পারে আয়ারল্যান্ড, ইজ়রায়েল, ফিলিপিন্সের মতো দেশও। এমনিতেই পেশাদার ও দক্ষ কর্মীদের জন্য চালু থাকা এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির ফলে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ রমেশের দাবি, এ বার ওই হায়ার বিল আইনে পরিণত হলে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, বিপিও এবং গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টারগুলির আয়ে বড় কোপ লাগবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হতে সময় লাগতে পারে। তার কিছু প্রস্তাব বদলাতেও পারে। ...তবে বিলের বক্তব্য থেকে আমেরিকার ক্রমবর্ধমান যে মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে তা হল, কল-কারখানার কাজ ইতিমধ্যেই চিনের কাছে চলে গিয়েছে। এ বার অফিসের কাজ যাতে ভারতের কাছে চলে না যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)