কর্নাটকে ভোট মিটতেই সোমবার পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ১৮ ও ৫ পয়সা। তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষে বিঁধলেন কেন্দ্রকে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর টুইট, মোদী-অর্থনীতির মূল তত্ত্বই সাধারণ মানুষকে ঠকানো। আর তাঁর দলেরই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বললেন, তেলের দামে দৌড় ফের শুরু হল। স্পষ্ট হল, এত দিন তা বাড়েনি কর্নাটক ভোটের কারণেই। তার পরেও অবশ্য মঙ্গলবার জ্বালানি দু’টির দাম বেড়েছে লিটারে ১৫ ও ২২ পয়সা।
নাগাড়ে বাড়ার পরে দক্ষিণী রাজ্যটিতে ভোটের মুখে ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৯ দিন একচুলও নড়েনি তেলের দাম। তখনই প্রশ্ন উঠছিল, দর একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কি শুধু কর্নাটক ভোটের সৌজন্যে? তার পরেই কি তা ফের বাড়বে? ঠিক গুজরাত ভোটে যেমনটা হয়েছিল।
কিন্তু দিল্লির দাবি ছিল, তেলের দামের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই। কেন্দ্র ওই দর স্থির করেও না। আর আইওসি-র দাবি ছিল, তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে না সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কথা ভেবেই। এখন প্রশ্ন উঠছে দুই দাবির যৌক্তিকতা নিয়েই।
বিশ্ব বাজারে তেল তলানিতে থাকাকালীন ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে ন’বার উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। সেখানে তা কমেছে মাত্র এক বার। বিরোধীরা তাই আবার প্রশ্ন তুলেছেন, অশোধিত তেলের দাম কম থাকার সময়ে যদি কেন্দ্র ও ভাবে শুল্ক চাপাতে পারে, তবে তা বাড়ার সময়ে তারা শুল্ক ছাঁটার পথে হাঁটবে না কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy