করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল দেশের যাবতীয় ঘরোয়া উড়ান যোগাযোগ। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়েছে। এই সময়সীমা এত দিন ছিল ২৭ মার্চ।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দেশের অন্যান্য শহর থেকে প্রায় ২০,০০০ যাত্রী কলকাতায় এসেছেন। রাত ৯টা-১২টার মধ্যে প্রায় ৩০০০। ওই সময়ে ১৯টি বিমান কলকাতায় নেমেছে। এই যাত্রীরা যাতে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, সে জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুরোধে রাজ্য বেশ কিছু বাসের ব্যবস্থা করে। অবশ্য সারা দিনই বেশ কিছু বাস বিমানবন্দর থেকে শহরে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহর থেকে বিমানবন্দরমুখী বেশ কিছু গাড়ি পুলিশ আটকালেও পরে অনুরোধে সেগুলিও ছাড়া হয়। এ দিন রাত ৯টায় কলকাতা থেকে শেষ বিমান ছাড়ে। সারা দিনে কলকাতা থেকে প্রায় ১৩,০০০ যাত্রী অন্য শহরে গিয়েছেন।
এ দিন কলকাতা থেকে কিছু ঘরোয়া উড়ান ছাড়তে দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বেশ ক’জন বিমানচালক আবাসন থেকে বেরোতে গেলে বাসিন্দারা আটকান। অন্য শহরে বিমান নিয়ে যাবেন বোঝাতে হিমসিম খেতে হয়েছে তাঁদের। দেরি হয় বিমানবন্দরে পৌঁছতে।
বিমানবন্দরগুলিতে মঙ্গলবারের পরেও পণ্য বিমান ওঠানামা বন্ধ হবে না। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, আজ, বুধবার থেকে সেগুলি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কলকাতা, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, বারাণসী ও আমদাবাদ। দেশের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকে এই সব বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) নিয়ন্ত্রণ করে। এটিসি অফিসারেরা যাতে কাজে পৌঁছতে পারেন, সে জন্য প্রশাসনকে আর্জি জানানো হয়েছে। পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে অফিসারদেরও।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পর যে গাড়িগুলিতে যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছোন, সেগুলি শহরে ফেরা যাত্রীরা ব্যবহার করেছেন। সংস্থাগুলি বলেছে, বাড়ি পৌঁছতে নিজেদের গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy