করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে ডাকঘর পরিষেবা চালু থাকার কথা। তা সত্ত্বেও সোমবার বিভিন্ন জায়গায় ডাক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের একাংশের। তা মানলেও ডাক কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এ দিন রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় কর্মীদের অনেকে ডাকঘরে পৌঁছতে পারেননি। আজ, মঙ্গলবার থেকে গণ পরিবহণ পুরোদস্তুর বন্ধ হওয়ায় রাজ্যের সব ডাকঘর চালু রাখা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে প্রধান ডাকঘর-সহ যতগুলি সম্ভব শাখা খোলা রাখার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
অনেকের দাবি, বেশ কিছু এলাকায়, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক ডাকঘর এ দিন তালাবন্ধ ছিল। কয়েকটি আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে কোনও গ্রাহকের টাকা তোলার বা আমানত ভাঙানোর প্রয়োজন থাকলেও তাঁরা তা করতে পারেননি।
পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা মানছেন চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) গৌতম ভট্টাচার্য। তবে তাঁর দাবি, ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক কর্মী কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেননি। আর যাঁরা হাজির হয়েছেন, বিকেল ৫টার পরে লকডাউনের জন্য তাঁদের কিছুটা আগে বার হতে হয়েছে। ফলে মূলত কলকাতা ও শহরতলিতে এই সমস্যা হওয়ার কথা।
গৌতমবাবু জানান, প্রধান ডাকঘরগুলির পাশাপাশি, বড় কিছু সাব-পোস্ট অফিসও খোলা রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বিপুল সংখ্যক কর্মীর সকলকে নিয়ে আসা বা অফিসে রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। তবে যত জনকে সম্ভব আনার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও কর্মী যে ডাকঘরে কর্মরত, তার বদলে বাড়ির কাছের ডাকঘরে আপাতত নিযুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে কর্মীদের আনার রোস্টার তৈরি করা হয়েছে।’’
ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে ৪৭টি প্রধান ডাকঘর রয়েছে। সেগুলি খোলা থাকবে। আর প্রায় ১৭০০টি সাব-পোস্ট অফিস রয়েছে। ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, লকডাউনের সময়ে তার মধ্যে ৫০০-র আশেপাশে খোলা থাকার সম্ভাবনা। সংস্থার কর্তারা জানান, রেল ও বিমান পরিবহণ বন্ধ থাকায় চিঠি বুকিং করলেও কবে তা পৌঁছবে তা নিশ্চিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy