বাড়িতে বসে টার্মিনাল নিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা সম্ভব। কিন্তু সম্ভব নয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার হস্তান্তর এবং তার দাম মেটানো। সে কারণেই শেয়ার ব্রোকিং সংস্থাগুলিকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার কথা ঘোষণা করল রাজ্য। মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং রাজস্থানও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লকডাউনের আওতা থেকে ব্রোকিং সংস্থাগুলিকে বাদ দেওয়ার আর্জি কেন্দ্রকে আগেই জানিয়েছিল সংস্থাগুলির মঞ্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ মেম্বার্স অব ইন্ডিয়া (অ্যানমি)। সেই দাবির ভিত্তিতে সব রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়ে মুখ্যসচিবদের চিঠি দেয় কেন্দ্র। রাজ্য তা কার্যকর করেছে। ফলে লকডাউন চলাকালীন ব্রোকিং সংস্থাগুলি খোলা থাকবে এবং তাদের কর্মীরাও দফতরে হাজির হয়ে কাজ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের ঘোষণার আগেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লকডাউন ঘোষণা করেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ব্রোকারদের বাড়ি থেকে টার্মিনাল নিয়ে শেয়ার কেনাবেচার অনুমতি দেন বিএসই এবং এনএসই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেয়ার হস্তান্তর এবং তার দাম মেটানোর (সেটেলমেন্ট) ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিলেন ব্রোকাররা।
তবে ব্রোকিং সংস্থাগুলিকে লকডাউনের বাইরে রাখা হলেও, যানবাহন না-চলায় কর্মীদের অফিসে যেতে সমস্যা হবে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ার এবং পণ্য লেনদেনের বাজার কিছু দিন বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে অ্যানমি এবং কমোডিটি পার্টিসিপ্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy