জিএসটির হার কমার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিসপত্রের দাম কমেছে। কিন্তু পরিবর্তিত কর কাঠামোয় চাপে পড়েছে কয়েকটি শিল্প। সেগুলির মধ্যে রয়েছে করোগেটেড বাক্স এবং খাতা। কর কাঠামো বদলের জন্য সরকারের কাছে দরবার করেছে তারা।
করোগেটেড বাক্সে জিএসটি কমলেও কাঁচামালের কর বেড়েছে। ফলে এই শিল্প বিপ্রতীপ কর কাঠামোয় পড়ে গিয়েছে। তাই কাঁচামালের কর ফেরত পেলেও, উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং পরিষেবা বাবদ খরচে আগে মেটানো কর ফেরতের (আইটিসি) সুবিধা পাবে না তারা। সারা দেশে এমন সংস্থা প্রায় ২০,০০০। ১০০০টি পশ্চিমবঙ্গে। সমস্তই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই)। তাদের সংগঠন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া করোগেটেড বক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা, করের হার সংশোধন না করলে বহু সংস্থা বন্ধ হতেপারে। রাজ্যে এই শিল্পে প্রায় এক লক্ষ কর্মী যুক্ত। দেশে ১০ লক্ষ। এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। দেখা করবে রাজ্যের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী তথা জিএসটি পরিষদের সদস্য চন্দ্রিমা ভাট্টাচার্যের সঙ্গে।
করোগেটেড বাক্সের কর ১২% থেকে কমে ৫% হয়েছে। কিন্তু তা তৈরি করতে যে ক্র্যাফট পেপার এবং বোর্ড লাগে তার কর ১২% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮%। সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি মিলন দে বলেন, ‘‘এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া জিএসটি আইন অনুযায়ী, তৈরি পণ্যের করের হার যদি কাঁচামালের করের থেকে কম হয়, তা হলে সেই শিল্প বিপ্রতীপ কর কাঠামোর আওতায় চলে যায়। ফলে যন্ত্রপাতি, ঠিক কর্মী, বাইরের নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের মতো পরিষেবায় আগে মেটানো মেটানো কর ফেরতের দাবি করা যাবে না।’’ তাঁর দাবি, কাঁচামালের কর তাঁরা ফেরত পাবেন। কিন্তু তার জন্য এখন ৪৫-৬০ দিন সময় লাগে। এত দিন মূলধন আটকে থাকায় চাপ বাড়বে।
আবার খাতায় জিএসটি শূন্যে নেমেছে। ফলে কাঁচামাল কিংবা যন্ত্রপাতি ও পরিষেবা, কোনও ক্ষেত্রেই আইটিসির সুবিধা মিলবে না। এমনিতে খাতা তৈরির কাগজের করও শূন্য। ফলে সেখানে সমস্যা নেই। কিন্তু যন্ত্র ও পরিষেবা খাতে মেটানো কর ফেরতের সুবিধা পাচ্ছে না তারা। খাতা সংস্থা পায়োনিয়ার পেপার অ্যান্ড স্টেশনারির কর্ণধার হরিশ চোপড়া বলেন, ‘‘খাতায় অন্তত ৫% কর বসুক। তা হলে অন্তত কাঁচামালে আইটিসির সুবিধা পাব। অন্যথা দাম বাড়াতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)