প্রতীকী ছবি
প্রযুক্তিগত কারণে একই মডেলের পেট্রলচালিত ছোট যাত্রী গাড়ির (হ্যাচব্যাক ও সেডান) তুলনায় তার ডিজেল সংস্করণে দাম গড়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা বেশি পড়ে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশের সব গাড়ি যখন বাধ্যতামূলক ভাবে ‘ভারত স্টেজ-৬’ (বিএস-৬) দূষণবিধির মাপকাঠি মেনে রাস্তায় দৌড়বে, তখন দামের ওই ফারাক আরও বাড়তে পারে। যে কারণে জ্বালানির এই নতুন জমানায় পা রাখার পরে, সংস্থাগুলি আদৌ ডিজেলচালিত ছোট যাত্রী গাড়ি তৈরি করবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। উঠছে প্রশ্নও। যদিও সম্প্রতি সেই আশঙ্কা নস্যাৎ করে টাটা মোটরসের অন্যতম কর্তা (ডিজাইন বিভাগের প্রধান) প্রতাপ বসুর দাবি, বিএস-৬ জ্বালানির গাড়ি আসার পরেও দেশের বাজারে চাহিদা বহাল থাকবে ডিজেলচালিত ‘প্রিমিয়াম’ বা দামি ছোট গাড়ির।
বস্তুত, পেট্রলের চেয়ে আগে ডিজেল অনেকটা সস্তা থাকায়, একই জ্বালানিতে বেশি পথ যাওয়ার (মাইলেজ) সুবিধা পাওয়া যেত ছোট ডিজেল গাড়িতে। তার উপরে বহু গাড়িপ্রেমীই ডিজেল গাড়ি চালাতে বেশি পছন্দ করেন। তাই ক্রেতাদের একাংশের মধ্যে বাড়তি দাম দিয়েও তা কেনার চাহিদা দেখা গিয়েছে।
কিন্তু এখন পেট্রল ও ডিজেলের দামের ফারাক অনেকটাই কমেছে। উপরন্তু নতুন নিয়মে গাড়ি কেনার খরচ ডিজেলে আরও বাড়লে ক’জন এই জ্বালানির ছোট গাড়ি কিনবেন, তা নিয়ে ধন্দে শিল্প মহল। তবে চাহিদা মার খাবে না, এই বিশ্বাসেই সম্প্রতি টাটা মোটরস, হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া এমন গাড়ি এনেছে বাজারে, যা পেট্রল ও ডিজেল উভয় জ্বালানিতেই চলে, বলছেন সংস্থা কর্তারা। গাড়ি শিল্প সূত্রের দাবি, অন্য দু’একটি সংস্থাও এই পথে হাঁটার কথা ভাবছে। প্রতাপের বক্তব্য, নবীন প্রজন্মের অনেকেই গাড়ি চালাতে কতটা ভাল লাগছে বা কতটা ভাল ভাবে গাড়ি চালানো যাচ্ছে, তাকে অগ্রাধিকার দেন। সেই নিরিখে দামি ছোট যাত্রী গাড়ির ক্ষেত্রে ডিজেল প্রযুক্তির চাহিদা সব সময় থাকবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy