আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপরে ৫০% শুল্ক চাপানোর ফলে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক পরিমাণে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল ইন্ট্যালিজেন্সের। শনিবার সেপ্টেম্বরে দেশের অর্থনীতির জন্য তৈরি করা রিপোর্টে তাদের বক্তব্য, রফতানি তো ধাক্কা খাবেই। পাশাপাশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, জিএসটি-র হার কমার ফলে দেশের বাজারে পণ্যের দামও কমেছে। ফলে চাহিদা বাড়লে রফতানির ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে। তা আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতে সাহায্য করবে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮%। যা পাঁচ ত্রৈমাসিকের সর্বোচ্চ। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি বাদে জিডিপি-র হার ১০.৮% থেকে নেমে এসেছে ৮.৮ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পরে অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার ওষুধ-সহ আরও কিছু জিনিসে শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। যে সব পণ্য আগের তালিকায় ছিল না। দেশের অর্থনীতিতে এ সবের জের কতটা পড়ছে, তা আগামী দিনে আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে।
তবে মূল্যায়ন সংস্থাটির বক্তব্য, কৃষি ক্ষেত্রে ভাল উৎপাদনের হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির গড় হার হতে পারে ৩.৫%। যা গত বছর ৪.৬% ছিল। যদিও এ বছর বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে ফলন যে ধাক্কা খেয়েছে, তার প্রভাব এখনও খুচরো বাজারে পড়েনি। তাই সে দিকে নজর রাখা জরুরি। তবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা ও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও দর মাত্রা না ছাড়ানোর সদর্থক প্রভাব ভারতে পড়বে বলেই আশা। এই পরিস্থিতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে আর একবার সুদ ছাঁটাই করতে পারে বলে মনে করে ক্রিসিল। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)