প্রতীকী ছবি।
কোনও রাজ্য সরকারি সংস্থা বা বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে তাদের তৈরি সংস্থা (এসপিভি) ঋণ নিলে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ধার হিসেবেই গণ্য হবে বলে লোকসভায় জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মার্চেও কেন্দ্র বলেছিল, কোনও রাজ্য সরকারি সংস্থা বা তাদের এসপিভি-র নেওয়া ঋণের আসল ও সুদ মেটানোর ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাজেট থেকে করা হলে সেই ধারকেও সেই রাজ্যের ধার হিসেবেই ধরতে হবে। উল্লেখ্য, সংবিধানের ২৯৩(৩) ধারা অনুযায়ী ওই ধরনের ধার নিতে হলে কেন্দ্রের অনুমোদন নিতে হয় রাজ্যগুলিকে।
কোন রাজ্য বছরে সর্বোচ্চ কত টাকা ধার করতে পারবে (নেট বরোয়িং সিলিং), তা প্রতি অর্থবর্ষের শুরুতে ঠিক করে দেয় কেন্দ্র। কোনও বছরে রাজ্য ওই ঊর্ধ্বসীমার বেশি ধার করলে তা ধরেই পরের বছরের ঋণের সর্বোচ্চ অঙ্ক ঠিক করা হবে। কিছু রাজ্য নির্ধারিত ধারের ঊর্ধ্বসীমাকে পাশ কাটিয়ে রাজ্য সরকারি সংস্থা বা এসপিভির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা ঋণ নেওয়ায় মার্চে ওই নির্দেশ জারি করেছিল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মার্চের হিসাব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের মোট ধার ৫,৬২,৬৯৭.২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চে ছিল ৪,৪৫,৭৯০.৪ কোটি।
সরকারের ধারে সুদ: গত অর্থবর্ষে সরকারের ঋণে সুদের পরিমাণ বেড়েছে অনেকটাই। সোমবার লোকসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি বলেন, তা পৌঁছেছে জিডিপি-র ৩.১ শতাংশে। টাকার অঙ্কে ৭.৩১ লক্ষ কোটি। ২০১৪-১৫ সালে সেই অঙ্ক ছিল ৩.২৭ লক্ষ কোটি টাকা (জিডিপি-র ২.৬%)। এই ক’বছরে কেন্দ্রের দায়ও দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ১৩৮.৮৮ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy