ফাইল চিত্র
করোনা সঙ্কটের মধ্যেই গত দু’সপ্তাহ ধরে টানা বেড়ে চলেছে পেট্রল ও ডিজেলের দর। এই দাম বৃদ্ধিতে রাশ টেনে মানুষকে সুরাহা দেওয়ার দাবি উঠলেও তাতে কান দিচ্ছে না কেন্দ্র। উল্টে শুল্ক বৃদ্ধির সময়ে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে দাম বাড়িয়েই চলেছে তেল সংস্থাগুলি। তৈরি হচ্ছে চড়া দরের নতুন নজির। কলকাতায় পেট্রলের মতো ডিজেলের দর এখন ১৯ মাসের সর্বোচ্চ। আর দিল্লিতে রেকর্ড গড়ছে ডিজেল।
২০১৭ সালের ১৬ জুন জ্বালানির দৈনিক দাম চালু হয়। সূত্রের খবর, তার পর থেকে এত দিন দিল্লিতে ডিজেল সব চেয়ে দামি ছিল ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর, ৭৫.৬৯ টাকা।
বুধবার সেই নজির ভাঙে। শনিবার তা আরও বেড়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটারে ছিল ৭৭.৬৭ টাকা।
আজ, রবিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটারে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩৩ ও ৫৪ পয়সা। হয়েছে ৮০.৯৫ টাকা ও ৭৩.৬১ টাকা। বুধবারই শহরে পেট্রলের দর ১৯ মাসের রেকর্ড ভেঙেছিল। শনিবার ডিজেল পার করেছে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বরের দরকে (৭২.৮৩ টাকা)।
লকডাউনের পর ধাপে ধাপে বাড়ছে পরিবহণ। এই সময়েই তেলের দাম বাড়লে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ি চালানোর খরচ বাড়বে। বিরোধীদের অভিযোগ, আয় বাড়াতে এখনই তেলের উপর শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্র। বস্তুত, লকডাউনের আগে সংসদের অধিবেশনের অন্তিম পর্বে কেন্দ্র শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেয়। কিন্তু তখন সেই বাড়তি বোঝা ক্রেতাদের উপর চাপায়নি সংস্থাগুলি। এখন সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দাম বাড়াচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, অশোধিত তেলের দাম যখন কম, তখন ক্রেতাদের সুরাহা দেবে না কেন কেন্দ্র?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy